শিরোনাম :
শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নরসিংদীতে বিএনপি নেতা কাইয়ুম সরকার বহিষ্কার দল থেকে বহিস্কার হলেন যুবদল নেতা মনির নরসিংদীতে ইসকন সদস্যের হাতে কালো ওয়াকি-টকি, আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি, নাকি ক্ষমতার জানান? জেলাজুড়ে তোলপাড়। চেতনা টিভিতে সংবাদ প্রকাশের পর সিমেন্ট ফ্যাক্টরীতে হামলার ঘটনায় যুবদল নেতা মনির গ্রেফতার। পলাশে যুবদল নেতার মদদে সিমেন্ট ফ্যাক্টরীতে হামলা নরসিংদীতে সংবাদ সম্মেলন করে ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা সমিতির কমিটি ঘোষণা জাকির হোসেন ভুঁইয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গাছের চারা বিতরণ।। বাংলাদেশ-নেপাল চেম্বারের সদস্য হলেন এবিএম আজরাফ টিপু দুদকের জালে তারেক রিকাবদার ঈদুল আজহা উপলক্ষে নরসিংদীর বালুসাইর শাহী ঈদগাহ মাঠে এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন

দুদকের জালে তারেক রিকাবদার

স্টাফ রিপোর্টার / ১৯৩ বার
আপডেট : বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আরও পাঁচ শীর্ষ কর্মকর্তার দুর্নীতির অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)।
গত মঙ্গলবার ১ জুলাই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম। এর আগে গত রবিবার ২৯ জুন এনবিআরের ছয় শীর্ষ কর্মকর্তার দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরুর কথা জানিয়েছিল দুদক।
আকতারুল ইসলাম জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কিছু অসাধু সদস্য ও কর্মকর্তা মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে কর দাতাদের কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য নির্ধারিত পরিমাণ কর আদায় না করে তাদের করের পরিমাণ কমিয়ে দিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে দুদকের কাছে। রাজস্ব কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে প্রতি বছর সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা ঘুষ না পেয়ে কর ফাঁকি দেওয়ার মিথ্যা মামলা করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিককে হয়রানি করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে দুদকের কাছে।
আকতারুল ইসলাম জানান, অনেক করদাতা আগাম কর দেন। আবার কেউ কেউ বেশি কর দেন। নিয়ম হচ্ছে এই কর হিসাব-নিকাশ করার পর বেশি দেওয়া হলে তা ওই করদাতাকে ফেরত দিতে হয়। কিন্তু তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ আর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিযোগ থেকে জানা যায়— করের বাড়তি টাকা ফেরত পেতে আরও অন্তত অর্ধেক টাকা ঘুষ বা উপহারে খরচ হয়। অভিযোগ রয়েছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর কর্মকর্তারা করের টাকা ফেরত দিতে গিয়ে নিজেরাও কামিয়ে নিচ্ছেন মোটা অঙ্কের টাকা।
একইভাবে, বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন স্টেশনে চাকরিকালীন বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে শুল্ক, ভ্যাট ও কর ফাঁকির সুযোগ করে দিয়ে ও নিজে লাভবান হয়ে রাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করার মাধ্যমে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন অনেকে। এমন অভিযোগে এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল রশীদ মিয়া, এনবিআরের সদস্য লুতফুল আজীম, এনবিআরের সিআইসি সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, ঢাকা কর অঞ্চল-১৬ এর উপ-কর কমিশনার মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম এবং যুগ্ম কমিশনার মো. তারেক হাছানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধান শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৯ জুন যাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছিল দুদক তারা হলেন, এনবিআরের আয়কর নীতি বিভাগের সদস্য এ কে এম বদিউল আলম, ঢাকা কর অঞ্চল-৮ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা, বিসিএস কর একাডেমির যুগ্ম কর কমিশনার মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দীন খান, ঢাকা কর অঞ্চল ১৬ এর উপ-কর কমিশনার মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা, নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হাছান তারেক রিকাবদার, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।
এনবিআরকে দুই ভাগে বিভক্ত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে এনবিআর কর্মকর্তাদের আন্দোলনে এসব কর্মকর্তার ইন্ধন রয়েছে বলেও জানা যায়।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ