নরসিংদীর পলাশে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর দুটি গ্ৰুপের মধ্যে এক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের সমর্থক ও ছাত্রদলের কর্মীদের মুখোমুখি এই সংঘর্ষে তিন ব্যক্তি আহত হয়। আহতদের মধ্যে ছাত্রদল কর্মী ঈসমাইল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রোববার সন্ধ্যায় পলাশ সদরের বিএডিসি মোড় এলাকায় বিএনপির দুটি গ্ৰুপের রাজনৈতিক শোডাউনকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পলাশ থানা পুলিশ। ঘটনাটি নিশ্চিত করেন পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মনির হোসেন।
স্থানীয়রা জানান, বিকেলে পলাশ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে উপজেলা ছাত্রদলের একটি মিছিল বের করা হয়। একই সময়ে, বিপরীত দিক থেকে জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের নেতৃত্বে আরেকটি মিছিল উপজেলার বিএডিসি মোড় এলাকায় মিছিল দুটি মুখোমুখি হয়। এসময় নিজেদের মধ্যে প্রভাব বিস্তারে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ চলাকালে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার হওয়ায় গুলিবিদ্ধ হন ঘোড়াশাল পৌর এলাকার খানেপুর মহল্লার আব্দুর রহিমের ছেলে ছাত্রদল কর্মী ঈসমাইল। বিএনপি নেতা ফজলুল কবির জুয়েলও সংঘর্ষে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এছাড়া আরও একজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি আঘাতপ্রাপ্ত হন। গুরুতর অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য গুলিবিদ্ধ ইসমাইল হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বিএনপি নেতা ফজলুল কবির জুয়েলকে তাৎক্ষনিকভাবে চিকিৎসার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মনির হোসেন জানান, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েল নরসিংদী-২ (পলাশ) নির্বাচনী এলাকায় রাজনৈতিক শোডাউন করতে এসেছিলেন। এসময় জুয়েলের সমর্থক ও ছাত্রদলের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে আহত তিনজনের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তারা।
এদিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, জুয়েল পূর্বেও ছাত্রনেতা মোশাররফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিল। অজ্ঞাত কারনে সে মামলা এখনো আলোর মুখ দেখেনি। অভিযোগ পেলে এবিষয়ে আইনি দ্রুত আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার ও জননিরাপত্তা রক্ষায় আইনের শাসন সম্পর্কে গুরুতর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে স্থানীয়দের মাঝে। এঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে নরসিংদীর সচেতনমহল ও জনমনে।