সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন

নরসিংদীতে ভূয়া কাগজ পত্রে দলিল তৈরির আতুরঘর সদর সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়

মাইনউদ্দিন সরকার / ২৭৫ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০২৫
CREATOR: gd-jpeg v1.0 (using IJG JPEG v62), quality = 100?

সৃজন করা ভুয়া ভায়া দলিল ও কাগজ পত্র দাখিল করে অন্যের জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার আতুরঘর নরসিংদী সদর সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়। এসব অপকর্মের মুল কারিগর দলিল লিখক জহিরুল ইসলাম। সনদ নং ২১৩।
জেলা রেজিস্ট্রার বরারব লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগি পরিবার সুত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের জাকির হোসেন জীবনের প্রথম, করিমপুর মৌজার আর এস ২৪৬০ খতিয়ানের ১১৪৫০ নং দাগে আড়াই শতাংশ জমি কেনার জন্য দারস্ত হন, একই ইউনিয়নের বাউশিয়া গ্রামের সফিউল্লাহ’র ছেলে
দলিল লেখক জহিরুল ইসলামের নিকট। বিক্রেতার ক্রয় করা জমির একটি বায়া দলিল সঠিক আছে কিনা যাচাই-বাছাই করে দেওয়ার অনুরোধ করে বলেন, আমার ৫৫ বছরের জীবনে কখনো জমি কেনা-বেচা করিনি। তাই এব্যপারে আমার কোন কিছু জানা নেই, আপনি যদি সঠিক বলেন, তাহলেই আমি জমিটা কিনবো। দলিল লিখক জহিরুল ইসলাম, বায়া দলিলটি সৃজন করা ভুয়া জানতে পেরে, বিক্রেতার যোগসাজশে, জাকির হোসেনের সাথে প্রতারণা করে বলেন, সবকিছু ঠিক আছে, আপনি জমি রাখেন। আমি আপনার জমি রেজিস্ট্রি করে দিবো। তবে রেজিস্ট্রি করার আগে, বিক্রেতা রোশনারা বেগমের নামে খারিজ করে নিতে হবে, আপনার নিজ খরচে। পরে ৩৩ হাজার টাকার রফা-দফায় খারিজ করার দায়িত্ব নেয়, জহিরুল ইসলাম। জহিরুল ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা ইব্রাহিমকে ম্যানেজ করে, ভুয়া দলিল দিয়ে রোশনারা বেগমের নামে জমি খারিজ করে নেন। পরে সাফ কাবলা দলিল করতে আরো ৩০ হাজার টাকা দাবী করেন। জাকির হোসেন অন্য দলিল লিখকের সাথে কথা বলে জানতে পারেন,১৪/১৫ হাজার টাকায় দলিল হয়। তখন জহিরুলকে দিয়ে দলিল করবেনা বলে, প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ফেরত চাইলে, জহিরুল কোন কাগজ পত্র দিবেনা বলে, হুমকি প্রদান করেন। বাধ্য হয়ে জহিরুলকে দিয়েই দলিল সম্পন্ন করেন।
ভুয়া ও জাল দলিলে অন্যের জমি রেজিস্ট্রি করার কারিগর জহিরুল ইসলাম ক্যারিশমাটিকভাবে সদর সাব রেজিস্ট্রার ও তার সহযোগীদের মাধ্যমে সৃজন করা ভুয়া ভায়া দলিল দিয়ে জাকির হোসেনের নামে,বিল এওয়াজ হেবা দলিল করেন। যার দলিল নং ৫০, তারিখ ০৩/০১/২০২৪ এবং সৃজন করা ভুয়া ভায়া দলিলের নং ১০১২৫, তারিখ ২২/০৬/১৯৮৩। এখানেও সাফ কাবলা না করে, সরকারকে রাজস্ব ফাকি দিয়েছেন। জাকির হোসেন দলিল সম্পন্ন করে, জমিতে ঘর নির্মাণ করতে গেলে, জমির প্রকৃত মালিকগণ বাঁধা প্রদান করলে, সৃজন করা ভুয়া দলিলের বিষয়টি জানাজানি হয়।
জাকির হোসেন এই জালিয়াতির বিষয়টি জহিরুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে, জহিরুল ইসলাম বিভিন্ন হুমকি প্রদান করে, তাড়িয়ে দেন। বাধ্য হয়ে অসহায় জাকির হোসেন জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে, জাকির হোসেন ও তার পরিবারের লোকজনকে, রাজনৈতিক নেতা এবং সন্ত্রাসী দিয়ে বিভিন্ন হমকি প্রদান করছেন, অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম।
অভিযোগ ও জাল দলিলে কিভাবে জমি রেজিস্ট্রি হয় বিষয়ে জানতে চাইলে, নরসিংদী জেলা রেজিস্ট্রার আরিফুর রহমানের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ