চেতনা ডেস্কঃ নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কক্ষে প্রবেশ করে ভাংচুর, মোবাইল ও ব্যাগ চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে তথাকথিত নবীন দল নামে একটি সংগঠনের সভাপতি করিমপুর ইউনিয়নের মো. আমির হোসেন ও বিএনপির আহবায়ক মো. আসাদুজ্জামান কাজলের বিরুদ্ধে। ২৫ নভেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টায় সদর উপজেলা পরিষদ নতুন ভবনে এই ঘটনাটি ঘটে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার পরেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেননি নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা সুলতানা নাসরীন। বরং মঙ্গলবার সকালে কোনছাঁয়া শক্তির ক্ষমতাবলে সমঝোতা বৈঠকের মধ্য দিয়ে ঘটনাটি নিস্পত্তি করেন তিনি। বিষয়টিকে রহস্যজনক বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতনমহল।
জানা যায়, জুলাই-আগস্টের ছাত্র জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন সরকার গঠন হলেও এখনো আওয়ামী লীগ সরকারের দোসররা বহাল তবিয়তেই রয়েছেন তারা। এদিকে সরকার পতনের মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে সিটি করপোরেশন, পৌরসভার মেয়র, জেলা ও উপজেলা চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়। অপরদিকে ইউপি চেয়ারম্যানদের অনেকেই এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান। এই পটভূমিতে জনগণ সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানদেরও অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
আর ইউপি চেয়ারম্যানদের আত্মগোপনের তালিকায় রয়েছেন নরসিংদী সদর উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান মমিনুর রহমান আপেলও। এই পলাতক চেয়ারম্যান আপেলকে পরিষদে বহাল রাখার তদবির করতেই সদর ইউএনও কার্যালয়ে আসেন আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর নবীন দলনেতা মো. আমির হোসেন ও তার লোকজনসহ মো. আসাদুজ্জামান কাজল। এসময় তাদের নেতৃত্বেই ভাংচুর ও ব্যাগ চুরির ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানান সরকারি সেবা নিতে উপজেলা পরিষদে আসা প্রত্যক্ষদর্শীরা। এদিকে আইনগত কোনো ব্যবস্থা ছাড়াই ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় ঘটনাটি সমঝোতা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে আপোষ করা হয়েছে। ব্যাগ ও জিনিসপত্র ফেরত দিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা সুলতানা নাসরীন।
এ ঘটনার সম্পর্কে জানতে চাইলে মো. আসাদুজ্জামান কাজলের ব্যবহৃত মুঠোফোনে তিনি জানান, উপজেলা পরিষদে নির্বাহী কর্মকর্তার পাশের একটি কক্ষে বসে ছিলেন তিনি। এবিষয়ে কিছুই জানেন না করিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির এই নেতা।