বছরের শেষ প্রান্তে নভেম্বর মাসে হিমেল হাওয়ায় নরসিংদীর রায়পুরায় ঐতিহ্যবাহী শীতের পিঠা নিয়ে আগমনী বার্তা পৌঁছে গেছে। কুয়াশায় ঢেকে যায় চারদিক, ঘাসের ওপর শিশিরের ফোঁটা দিন দিন শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে তোলে। রায়পুরা উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও অলিগলিতে শীতকালীন ঐতিহ্যবাহী পিঠা আমেজে উৎসবমুখর আনন্দে পরিবেশ দেখা যাচ্ছে।
প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলায় বিভিন্ন বাজার ও অলিগলিতে দেখা মিলছে শীতকালীন ঐতিহ্যবাহী পিঠা বিক্রেতাদের আমেজে উৎসবমুখর আনন্দে পরিবেশ দেখা যায় । নানা রকম ঐতিহ্যবাহী শীতকালীন পিঠার দোকানগুলোর সামনে বিভিন্ন বয়সের মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন।
পিঠা বিক্রেতার নিজ হাতে তৈরি ভাপা, চিতই পাটিসাপটাসহ নানা রকম ঐতিহ্যবাহী শীতের পিঠা আমেজে এসব পিঠা ও ভর্তার স্বাদ যেন দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়। শিশু ও বয়স্কদের জন্য ভাপা ও চিতই পিঠা শীতকালীন আনন্দে এক উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করে।
রায়পুরা পৌর স্থানীয় বাসিন্দা আল-আমিন জানান, “শীতকালে প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর পরই বিভিন্ন বাজার ও অলিগলিতে পিঠার দোকানগুলোতে বসে গরম গরম খাওয়া যেন এক ধরনের বিশেষ অনুভূতি। এটিই যেন আমাদের সংস্কৃতির এক অংশ”।
রায়পুরা পৌর এলাকার পিঠা বিক্রেতা মোঃ হিরণ মিয়া জানান, প্রতিবছর শীতের আগমনে হলেই ঐতিহ্যবাহী শীতকালীন পিঠার বেচাকেনা দ্বিগুণ হয়।তাছাড়া তিনি প্রায় আট বছর যাবৎ সারা মাস ধরে নিজ হাতে পনের কেজি চাউলের পিঠা তৈরি করে। মানুষের ঐতিহ্যবাহী পিঠা খাওয়ার আগ্রহ দেখে আমার খুবই ভালো লাগে।
এই উৎসবমুখর পরিবেশে রায়পুরার মানুষেরা শুধু খাবার নয়, বরং নিজেদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছেন।শীতকালীন পিঠার এই আনন্দ যেন শীতের প্রতিটি সন্ধ্যায় মানুষের মনে উষ্ণতা যোগায়।