শিরোনাম :
নরসিংদী জেলা পুলিশের অভিযানে মাদকসহ আটক ৫৫ রাজনীতি করে কেউ জেলে গেলে, বাবার সম্পত্তি বিক্রি করতে হবেনা : মনজুর এলাহী নমিনেশনে সিনিয়র নেতাদের নাম নেই। তালিকা পরিবর্তন হতে পারে যে কোন সময় নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে গাঁজা ও বিলাসবহুল গাড়িসহ আটক ১ শিক্ষককে পিটিয়ে লাঞ্ছিত করলেন আব্দুল কাদির মোল্লা আমরা রাজনীতি করি এদেশের মাটি ও মানুষের জন্য : মনজুর এলাহী নরসিংদী জেলা পুলিশের অভিযানে আটক ৫১ নরসিংদীতে স্বামীর দেয়া আগুনে পুড়লো স্ত্রী সন্তানসহ ৫ জন সন্তান আবদার করলেই আরওয়ান ফাইভ কিনে দিবেন না : নরসিংদীর জেলা প্রশাসক পুলিশের দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ পেলেই শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে : নরসিংদীর পুলিশ সুপার
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৫১ অপরাহ্ন

বোনের জন্যই কি অকালে প্রান দিতে হলো স্কুলছাত্রী আনিকাকে 

স্টাফ রিপোর্টার / ৩১১ বার
আপডেট : বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৪

নরসিংদীর মনোহরদীতে গত ৪ নভেম্বর সোমবার মনোহরদী সরকারি কলেজের পিছনে অবস্থিত খালার বাড়িতে আনিকা (১৫) নামের এক স্কুলছাত্রীকে ঘরের ভিতর ঢুকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। এসময় গুরুতর আহত হন তার খালা পাপিয়া আক্তার (৪৯)। নিহত আনিকা স্থানীয় কৃষ্ণপুর ভোকেশনাল স্কুলের ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী এবং পার্শ্ববর্তী বেলাব উপজেলার পোড়াদিয়া গ্রামের শাহজাদা নূর আলমের মেয়ে। গুরুত্বর আহত পাপিয়া আক্তার মৃত আব্দুস ছাত্তার মাস্টারের স্ত্রী। গুরুত্বর আহত খালা পাপিয়া আক্তার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। 
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাপিয়ার মেয়ে অর্থাৎ নিহত আনিকার খালাতো বোন কলেজ পড়ুয়া অর্পার সঙ্গে পরিচয় হয় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শাহজাহান কিবরিয়ার ছেলে সৌদিপ্রবাসী শাহরিয়ার শাহজাহান ফারদিনের।  অর্পাকে ফারদিনের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য অনেকদিন ধরে অনুরোধ করেন। কিন্তু অর্পার মা (পাপিয়া) বিয়ে দিতে রাজি ছিলেন না।
সোমবার কুলাউড়া থেকে মনোহরদী আসেন ফারদিন। পরে তিনি অর্পার বাসায় আসেন। তখন অর্পা বিশ্ববিদ্যালয় কোচিং ক্লাস করতে নরসিংদী ছিলেন। বাসায় ছিলেন তার মা ও খালাতো বোন আনিকা। দুপুরে রান্না করে ফারদিনকে খাওয়া-দাওয়া করান পাপিয়া। পরে অর্পাকে বিয়ে দেওয়া নিয়ে মা (পাপিয়া) সঙ্গে কথাবার্তা বলার সময় হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে পড়েন ফারদিন। একপর্যায়ে ফারদিন তার ব্যাগে থাকা ধারালো চাপাতি দিয়ে পাপিয়াকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তার চিৎকার শুনে পাশের কক্ষে থাকা আনিকা তার খালাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। এ সময় ঘাতকের হাত থেকেও রক্ষা পাননি আনিকা। তাকেও কোপাতে থাকেন ফারদিন। চাপাতির কোপে গলা কেটে যাওয়ায় ঘটনাস্থলেই আনিকার মৃত্যু হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করে ততক্ষণে বীরদর্পে পালিয়ে যান ফারদিন। পরে পাপিয়া বাসা থেকে বের হয়ে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় পাপিয়াকে উদ্ধার করে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে নিহত আনিকার মা নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের বাবা শাহাজাদা নূর আলম বাদী হয়ে শাহরিয়ার শাহজাহান ফারদিনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করে মনোহরদী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামী গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি ।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ