নরসিংদীর মনোহরদীতে আনিকা (১৫) নামের এক স্কুলছাত্রীকে বাসার ঘরের ভিতর ঢুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে মনোহরদী সরকারি কলেজের পাশে আব্দুস সাত্তার মাস্টারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এসময় গুরুতর আহত হন তার খালা পাপিয়া আক্তার (৪৯)। নিহত আনিকা স্থানীয় কৃষ্ণপুর ভোকেশনাল স্কুলের ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী এবং পার্শ্ববর্তী বেলাব উপজেলার পোড়াদিয়া গ্রামের নূরে আলমের মেয়ে। গুরুত্বর আহত পাপিয়া আক্তার মৃত আব্দুস ছাত্তার মাস্টারের স্ত্রী। নিহত আনিকার মা নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে চাকরি করার সুবাদে খালার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত। কে বা কারা কি উদ্দেশ্যে এই হামলা করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা চাপাতি উদ্ধার করেছে স্থানীয় পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিহতের খালা পাপিয়া আক্তার রক্তাক্ত শরীর নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে চিৎকার করতে থাকে। এসময় প্রতিবেশীরা তার বাড়িতে ঢুকে তার ভাগ্নী আনিকার রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায়। পরে পাপিয়াকে আহত অবস্থায় মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয় লোকজন। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল আরেফিন বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা যায়, আহত পাপিয়া আক্তারের পূর্ব পরিচিত ফারদিন সহ একাধিক ব্যক্তি ওই বাড়িতে ঢুকে এ ঘটনা ঘটায়। তবে কি কারণে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে তা এখনও বলা যাচ্ছে না। ফারদিনকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে। মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে তরুণীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পাপিয়া নামে তার খালাকে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।