অপরাধ জগতের সম্রাট মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম ওরফে সুজন। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের শাসনামলে ও বর্তমানে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয় এর সহকারী পরিচালক তিনি। সরকারী চাকুরী ও দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় কিশোর গ্যাং পরিচালনা সহ মাদকদ্রব্য ক্রয় বিক্রয়ের মধ্য দিয়ে রাম রাজত্ব কায়েম করেছে মুখোশধারী এই সূজন। তার সৃস্ট এই অপরাধ জগতে পা বাড়িয়ে বিপথগামী হচ্ছে শিবপুর উপজেলা সহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার যুব সমাজ। জীবন ধংসী উম্মাদনায় মেতেছে উঠতি বয়সী অনেক কিশোর কিশোরীরা।
প্রাণঘাতী মাদক ব্যবসার জাল বুনে অবৈধ পথে টাকা উপার্জনকারী এই সূজনের বাড়ি নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের কুমরাদী গ্রামে। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর সহকারী পরিচালক হয়েও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় তৈরি করেছে কিশোর গ্যাং। তার অধীনে থাকা এই গ্যাং সদস্যের দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। আর ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার পতনের আগ মূহুর্তে অবৈধ পথে আসা অর্থ দ্বারা সৃস্ট কিশোর গ্যাংয়ের মাধ্যমে বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীর উপর চালিয়েছে অমানবিক ও পাশবিক নির্যাতন। এদিকে ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের পর ভোল পাল্টাতে শুরু করেছে মুখোশধারী এই সূজন।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ছবিতে দেখা যায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির এক নেতার সাথে। নরসিংদী পেশাজীবি সমন্বয় পরিষদ শিবপুর উপজেলা শাখার মতবিনিময় সভায় ছবিটি তোলা হয়েছে। নিজের আইডি থেকেও ওই ছবি পোষ্ট দেয় স্বৈরাচারী আওয়ামীদের দোসর সুজন। অপরাধ লুকাতে বিএনপি হওয়ার চেষ্টা করছে সে।
এ নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা কর্মীদের মাঝে তুমুল আলোচনা সমালোচনার ঝড় সহ সৃস্ট হয়েছে চরম ক্ষোভ। অপরদিকে মুখোশধারী এই সূজনকে আইনের আওতায় এনে দৃস্টান্তমূলক শাস্তির মধ্য দিয়ে মাদকমুক্ত উপজেলা ও যুব সমাজের ভবিষ্যৎ জীবন ধংসের হাত থেকে রেহাই দিতে সংশ্লিস্টদের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন সচেতনমহল ও শিবপুরবাসী।