নরসিংদী মনোহরদী উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে বীরগাঁও বাজারের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’গ্রুপে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন তিনজন। আহতরা মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
জানাযায়, ৫ আগষ্টে সরকার পতনের পর থেকে বীরগাঁও বাজারের কর্তৃত্ব নেয়ার চেষ্টা চালায় কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক সোহাগ ও চায় বাজারের কর্তৃত্ব। একটি গ্রুপ আওয়ামী লীগের তকমা লাগিয়ে বাজারের কিছু দোকানপাট বন্ধ করে দেয়, আবার অন্য গ্রুপের লোকজন সেই দোকান খুলে দেয়। দোকান বন্ধ ও খোলা রাখার মাধ্যমে চাঁদাবাজি করার পাল্টা পাল্টি অভিযোগ করেছেন দু’গ্রুপের লোকজন।
ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ বলেন, স্বৈরাচারীনি শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে আব্দুল মান্নান মেম্বার বাজারের কিছু কিছু ব্যবসায়ীদের উপর আওয়ামী লীগের তকমা লাগিয়ে বন্ধ করে দেয়, পরে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে দোকান খুলে দেয়। আমরা এর প্রতিবাদ করলে,মান্নান বাহীনি গত রবিবার সন্ধায় আমাদের উপর হামলা করে। এসময় আমি, ইসমাঈল ও টিটু সহ আরো কয়েকজন আহত হয়েছি।
পরে আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছি।
এব্যাপারে ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান মেম্বার পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, সোহাগের নেতৃত্বে এসব দোকান বন্ধ করা ও আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে খোলা হচ্ছিলো। আমরা এলাকাবাসী ও বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা মিলে বাধা দিলে, তারা আমাদের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষ হয়।
এসময় এলাকার চিহ্নিত মাদক,ছিনতাই ও ডাকাতী মামলার আসামী ইসমাঈল ও টিটু আহত হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মনোহরদী ও শিবপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। থানায় খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কাঠ ব্যবসায়ী বলেন, সোহাগ গ্রুপের লোকজন আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়, পরে আলোচনার মাধ্যমে সামান্য কিছু অর্থ দিয়ে আমি দোকান খুলেছি।