নরসিংদীতে মামলার নামে চলছে তুঘলকি কারবার। সকালে মামলা হচ্ছে তো বিকালে প্রত্যাহার হচ্ছে। এর
সুনির্দিষ্ট কারণ কেউ বলতে পারছেন না। আদালতের আইনজীবীরাও এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। তবে জনশ্রুতি রয়েছে, অর্থ লেনদেন ও গোপন সমঝোতাই মূল কারন।
বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, নরসংদীর শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা ও শিল্পপতিদের ক্ষেত্রে চলছে এমন ঘটনা। ছাড়াও গত কয়েকদিনে অন্ততঃ ৮/১০টি মামলায়৷ এমন ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, মামলার প্রক্রিয়া করে জমা দেয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সে মামলা সমঝোতায় যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট নরসিংদী থানার দুজন এসআই এবং ডিবি পুলিশের কর্মকর্তাদের নামে একাধিক মামলা প্রক্রিয়ার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু মামলাগুলো আদালতে নথিভুক্ত করার আগেই উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতার ঘটনাও ঘটছে। গত কয়েকদিন নরসিংদীর আদালপাড়ায় আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ, আমলাদের এবং শিল্পপতিদের নামে মামলা দাখিল এবং প্রত্যাহার সহ সমঝোতার ঘটনায় জনমুখে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে। বিশস্ত সুত্রে জানা যায়, থার্মেক্স গ্রুপের কর্নধার আঃ কাদির মোল্লা সহ কয়েকজনের নামে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। কানাঘুষা রয়েছে বড় অংকের টাকার বিনিময়ে কয়েক ঘন্টার মধ্যে সে মামলা প্রত্যাহারও হয়েছে। তাছাড়া গত বুধবার ২১ আগস্ট সাবেক শিল্পমন্ত্রী এড. নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন সহ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের নরসিংদী জেলা পর্যায়ের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের নাম সম্বলিত ১১৪ জনকে আসামী করে হত্যার অভিযোগ এনে একটি এজাহার দাখিল করার পর অজ্ঞাত কারণে মামলাটি উঠিয়ে নেয়া হয়। শোনা যাচ্ছে এড. নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন নরসিংদী জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য। সেই কারণে নরসিংদী বারের আওয়ামী লীগের আইনজীবীগণ এড. নুরুল মজিদ হুমায়ুনকে বাদ দিয়ে এজাহার দাখিল করার জন্য বাদীকে বাধ্য করে।
এসব ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে নরসিংদী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি কাজী নাজমুল ইসলাম বলেন, বাদী মামলা আদালতে দাখিল করে এবং বাদীই আবার মামলা প্রত্যাহার করে নেয়। এতে আমাদের কিছু করার থাকে না।
এব্যাপারে অভিজ্ঞজনদের মত হল, সুনির্দিষ্ট ভাবে প্রকৃত দোষিদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে। কোন অপচিন্তা থেকে মামলা করা উচিত হবে না। এ ক্ষেতে নরসিংদীর শীর্ষ সন্ত্রাসী সহ চোরাকারবারী লুটেরা সহ দূর্নীতিগ্রস্ত কোন রাজনৈতিক নেতা যেন বাদ না যায় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।