তিনি বলেন, সারাবিশ্ব আজ বলছে- সাবাস বাংলাদেশ, সাবাস বাংলাদেশের ছাত্রজনতা:এই অর্জনটাকে আরও অনেক দূর নিয়ে যেতে চাই।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “সরকারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে স্বৈরাচার সরকার নিজেদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিল। আমরা এসব প্রতিষ্ঠানের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনব।”
তিনি বলেন, “যারা অপরাধ করেছে, তাদের আইনের মাধ্যমে বিচারের আওতায় শিগগিরই উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। এই কথা সব মন্ত্রণালয়, সংস্থা, দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য। সব অপরাধীর বিচার হবে।”
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন ড. ইউনূস।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “প্রত্যেকটি অফিসের দায়িত্বরতরা নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দ্বিতীয় স্বাধীনতা উপভোগ করবেন। দেশের মর্যাদাকে গৌরবের শীর্ষে নিয়ে যাবেন।”
সবাইকে নির্ভয়ে ও আনন্দচিত্তে নিজ নিজ কর্মস্থলে নিজের জায়গা থেকে সামর্থ্য নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “দেশের সব মানুষকে স্বাধীন, নির্ভয়, নির্ভার থাকার নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য ছাত্ররা শহীদ হয়েছেন। তারা গণঅভ্যুত্থান করেছেন। এই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সৃষ্ট সরকার সবার। এখানে সবার আকাঙ্ক্ষা পূরণের সরকার থাকবে।”
তিনি বলেন, “অরাজকতার বিষবাষ্প যেই ছড়াবে বিজয়ী ছাত্রজনতাসহ মুক্ত মানসিকতার মানুষ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পূর্ণ শক্তি তাদের ব্যর্থ করে দেবে।”
শেখ হাসিনা সরকারের সমালোচনা করে ড. ইউনূস বলেন, “নিষ্ঠুর স্বৈরাচারী সরকার দূর হয়ে গেছে। কাল সূর্য উদয়ের সঙ্গে সঙ্গে গণতন্ত্রের, সুবিচারের, মানবাধিকারের, নির্ভয়ে মতপ্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতার জন্য, সবার স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনের ধারণের সুযোগ প্রদানের জন্য সচেষ্ট সরকারের বলিষ্ঠ সান্নিধ্য ও সহমর্মিতা দলমত নির্বিশেষে সবাই উপভোগ করবে এটিই আমাদের লক্ষ্য। আপনারা আমাদের লক্ষ্য পূরণে সহযোগিতা করুন।”
তিনি বলেন, “সারাবিশ্ব আজ বলছে- সাবাস বাংলাদেশ, সাবাস বাংলাদেশের ছাত্রজনতা। এই অর্জনটাকে আরও অনেক দূর নিয়ে যেতে চাই।”
ড. ইউনূস বলেন, “আমাদের ছাত্রজনতার জন্য এটি খুব কঠিন কাজ নয়। তরুণরা অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। তারা সেজন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে আর ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিহার করে তাহলে বিজয় তাদেরই হবে।”