অপরাধ দমনে সাহসিকতা ও সফলতা দিয়ে সাধারণ মানুষের মনজয় করেছেন নরসিংদীর মনোহরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কাশেম ভূইয়া পিপিএম। তিনি মনোহরদী থানায় যোগদানের পর থেকেই নিজ যোগ্যতা আর দক্ষতা দিয়ে থানার সচেতন ও সাধারণ এলাকাবাসীর মন জয় করে নিচ্ছেন। সেই সাথে মাত্র তিন মাসেই একজন সফল ওসি হিসেবে যত গুণাবলী প্রয়োজন তা তিনি দেখাতে সক্ষম হয়েছেন।
গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ অবদান,শৃঙ্খলামূলক আচরণসহ সেবামূলক কাজে প্রশংসনীয় অবদান রাখায় রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পেয়েছেন।
তিনি এই থানায় যোগদানের পর থেকে থানা এলাকা থেকে টাউট-বাটপার ও দালালদের দৌরাত্ম বন্ধ হয়েছে। পুলিশী সেবা গ্রহীতাদের এখন আর দূর্ভোগ পোহাতে হয় না। মাদক বিরোধী অভিযানেও সফল হয়েছেন ওসি আবুল কাশেম ভূইয়া ।
ধনী-গরীব সবার জন্য ওসির দরজা সব সময় উন্মোক্ত করার পাশাপাশি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসা, ডাকাতি, চুরি, ছিনতাইসহ সকল অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভুমিকা পালন করছেন তিনি।
এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ কালে ওসি আবুল কাশেম ভূইয়া বলেন, আমি গত ডিসেম্বরে মনোহরদী থানায় যোগদান করার পর জেলা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম স্যারের নির্দেশনা ও তত্বাবধানে আমি মনোহরদীতে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ ভাব বজায় রাখতে সবসময় সচেষ্ট। আমার থানা এলাকায় কেউ অপরাধ করে পার পায়না। অপরাধের সন্ধান পেলে আমি নিজেই অভিযানে নেমে পড়ি। আমি এখানে আসার পর হত্যা মামলা ধর্ষণ ও মাদক মামলার আসামী গ্রেফতারের পাশাপাশি ওয়ারেন্ট তামিল করেছি। পিতাকে সন্তান, বড় ভাইকে ছোট ভাই এবং স্ত্রীকে তার স্বামী হত্যা করে আত্মগোপনে চলে যাওয়ার পরও আমি তাদেরকে ২৪ ঘন্টার পূর্বে আটক করেছি। প্রভাবশালী স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে গর্ভবতী করার সংবাদ পেয়ে আমি নিজে সেই প্রভাশালীকে আটক করে কোর্টে প্রেরণ করেছি।
তিনি আরো বলেন, মানুষের সেবা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা আমার দায়িত্ব। ওসি হিসেবে যতদিন কর্মরত আছি, ততদিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিরলস ভাবে আমার দায়িত্ব পালন করবো। যাতে করে মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে ও স্বস্থিতে থাকতে পারে।