শিরোনাম :
নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খোকন, সাধারণ সম্পাদক মনজুর এলাহী নির্বাচিত শিশুশ্রম: অর্থ উপার্জনের এক নিষ্ঠুর চক্রে বন্দী শৈশব জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো এপেক্স ক্লাব অব পল্লবীর পালাবদল নরসিংদীতে চাঁদার জন্য প্রবাসীর বাবাকে তুলে নিয়ে মারধর।। পুলিশ কর্তৃক উদ্ধার। নরসিংদীতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার নাকি অবহেলিত মাধবদীর বাসিন্দারা সৌদির রিয়াদে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনকে সংবর্ধনা নরসিংদী ডায়াবেটিক সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন বি-বাড়ীয়া বাসীর আস্থার প্রতিক ওসি মোজাফফর রায়পুরায় মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে নরসিংদীতে স্মারকলিপি প্রদান
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন

প্রতিবন্ধী যুবককে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, ২জন গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার / ৪০৮ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

নরসিংদীর রায়পুরায় এক শারিরীক প্রতিবন্ধী যুবককে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে দুই তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে থানা প্রাঙ্গনে প্রেস কন্ফারেন্স করেন। ওই দিন এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে রায়পুরা থানায় মামলা করেন।
আগে বুধবার সন্ধ্যার পর ভুক্তভোগীকে অপহরণ করে ভোরে উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের বটিয়ারা গ্রাম থেকে অপহরণ করে।
অপহৃত ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী কাজী শাহিন (১৭) বটিয়ারা গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, একই এলাকার বটিয়ারা গ্রামের মো হারিছ মিয়ার ছেলে আবির ওরফে আপন(১৭), জিরাহি গ্রামের নাসির উদ্দীনের ছেলে আরিয়ান হাসান নিলয়(১৭)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকেলে বাড়ির পাশে তরুণরা বিরিয়ানি খেয়ে সন্ধ্যার পর ভুক্তভোগীকে সু কৌশলে অপহরণ করে। পরে রাত সাড়ে ৯ টায় অপহরণকারি চক্রটি ভুক্তভোগীর চাচাত ভাই রফিক মিয়ার মুঠোফোনে অপহরণের ছবি পাঠিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহৃতের বাবা প্রথমে তাদেরকে ২০ হাজার টাকা পরে ৬০ হাজার টাকা দিতে রাজি হন। এরি মাঝে পরিবারটি রায়পুরা থানা পুলিশকে অবগত করে। পরে অপহরণ কারিরা রাতে রাজাবাড়িয়া এলাকায় টাকা নিয়ে আসার কথা বলেন। স্বজনরা টাকা নিয়ে গেলে উৎপেতে থাকা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের জিরাহি এলাকা থেকে রাত পৌনে ২ টায় তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের পুলিশী জিজ্ঞাসাবাধে জিরাহি গ্রামের নির্জন এলাকা থেকে ভুক্তভোগীকে পুলিশ ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে।
স্থানীয় বাসিন্দা কাজী কামাল হোসেন বলেন, ‘টাকার জন্য এমন একটি প্রতিবন্ধী ছেলেকে অপহরণ বিশ্বাস অযুগ্য। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এমন ঘটনা আর যাতে সমাজে না ঘটে। এমন ন্যক্কার জনক কর্মকান্ডে তাদের কঠিন শাস্তি দাবি করছি।’
ভুক্তভোগীর বাবা আমির হোসেন বলেন, ‘বিকেলে বাড়ির পাশে বিরিয়ানি খেয়ে সন্ধ্যার পর থেকে খুঁজা-খুঁজি করে ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছিলো না। রাতে অপহরণ কারিরা ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে ১লাক টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতা তাকে উদ্ধার গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার থানায় মামলা করি। এমন ঘটনার সাথে জরিতদের কঠিন শাস্তি দাবি করছি।’
ভুক্তভোগী কাজী শাহীন বলেন, ‘একজনের সাথে আমার পরিচয় ছিলো। তাদের সাথে কোনো শত্রুতা নেই, কি কারনে তারা করেছে তা জানি না।’
এ সংক্রান্ত প্রেস কন্ফারেন্সে জেলা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(রায়পুরা-বেলাব সার্কেল)আফসান আল আলম বলেন, ‘ এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানের নির্দেশনায় আমিসহ পরিদর্শক তদন্ত মীর মাহবুব ও উপপরিদর্শক নিতাই সঙ্গীয় ফোর্স রাতেই অভিযান পরিচালনা করে প্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিমকে উদ্ধার এবং দুইজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার তিনজনের নাম উল্লেখ করে রায়পুরা থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের পুলিশী প্রহরায় বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ