শিরোনাম :
নরসিংদীতে আন্তর্জাতিক দূর্ণীতি বিরোধী দিবস পালিত নরসিংদীতে হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী ওরফে শুটার কাদির গ্রেফতার ছাত্র আন্দোলনে আহতদের দেখতে হাসপাতালে আমরা বিএনপি পরিবার ভারত উল্টা পাল্টা কিছু করলে খেসারত ভারতকেই দিতে হবে : ইঞ্জি: বকুল নরসিংদী থেকে প্রকাশিত বহুল প্রচারিত ও পাঠকনন্দিত সাপ্তাহিক পত্রিকা আজকের চেতনা এর ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত তালেব হোসেন মেমোরিয়াল একাডেমির ৭ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন নরসিংদীতে এসএসসি ৯৪ বন্ধনের পরিচিতি ও মিলন মেলা অনুষ্ঠিত নরসিংদী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মান্নান ও সম্পাদক নুরুন্নবী। নরসিংদীতে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত নরসিংদীতে চাকুরি পুনর্বহাল ও কারাবন্দী বিডিআর সদস্যদের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৪ অপরাহ্ন

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার জন্মদিন আজ

স্টাফ রিপোর্টার / ৩১৭ বার
আপডেট : শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৪

আজ ১৯ জানুয়ারি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের  ৮৪তম শুভ জন্মবার্ষিকী। ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের বগুড়া জেলার বাগবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে তার ডাক নাম ছিলো কমল।মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীরউত্তম খেতাবে ভূষিত করে। জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন এবং ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠা করেন।  পিতার চাকরির কারণে জিয়াউর রহমান কলকাতা হেয়ার স্কুলে লেখাপড়া করেন। ভারতবর্ষ ভাগের পর তার পিতা সপরিবারে পাকিস্তানের করাচিতে চলে গেলে তখন জিয়াউর রহমান করাচি একাডেমী স্কুলে ভর্তি হন।  করাচি একাডেমী থেকে তিনি ১৯৫২ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে ১৯৫৩ সালে করাচিতে ডি.জে. কলেজে ভর্তি হন। একই বছর তিনি কাকুল মিলিটারি একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন।  ১৯৫৫ সালে তিনি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশন প্রাপ্ত হন।

সামরিক বাহিনীতে তিনি একজন সুদক্ষ প্যারাট্রুপার ও কমান্ডো হিসেবে সুপরিচিতি লাভ করেন এবং স্পেশাল ইন্টেলিজেন্স কোর্সে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

করাচীতে দুই বছর চাকুরি করার পর ১৯৫৭ সালে তিনি ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে বদলি হয়ে আসেন। তিনি ১৯৫৯ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করেন।

১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে একটি কোম্পানির কমান্ডার হিসেবে খেমকারান সেক্টরে তিনি অসীম বীরত্বের পরিচয় দেন। এই যুদ্ধে বীরত্বের জন্য পাকিস্তান সরকার জিয়াউর রহমানকে হিলাল-ই-জুরাত খেতাবে ভূষিত কবে।

১৯৬৯ সালে মেজর পদে উন্নীত হয়ে জিয়াউর রহমান জয়দেবপুরে সেকেন্ড ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড পদের দায়িত্ব লাভ করেন। এডভান্সড মিলিটারি এন্ড কমান্ড ট্রেনিং কোর্সে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য তিনি পশ্চিম জার্মানিতে যান এবং কয়েক মাস বৃটিশ আর্মির সাথেও কাজ করেন।

১৯৭০ সালে একজন মেজর হিসেবে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং চট্টগ্রামে নবগঠিত অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড পদের দায়িত্ব লাভ করেন।

১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হলে প্রথমে তিনি ১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার নিযুক্ত হন এবং চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, রাঙ্গামাটি, মিরসরাই, রামগড়, ফেনীপ্রভৃতি স্থানে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করেন।

জুন হতে অক্টোবর পর্যন্ত যুগপৎ ১১ নম্বর সেক্টরের ও জেড-ফোর্সের কমান্ডার হিসেবে তিনি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বের জন্য তাকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমানকে কুমিল্লায় সেনাবাহিনীর ৪৪তম ব্রিগেডের কমান্ডার নিয়োগ করা হয় যে ব্রিগেডের সদস্যরা তারই অধীনে ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ করেছিলো। ১৯৭২ এর জুন মাসে তিনি কর্নেল পদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপসেনাপ্রধান পদে নিযুক্ত হন।

১৯৭৩ সালের মাঝামাঝি তিনি ব্রিগেডিয়ার পদে এবং ঐ বছরের শেষের দিকে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি লাভ করেন।

১৯৭৫ সালের ২৪ আগস্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান নিযুক্ত হন। ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বরে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হতে অবসর গ্রহণ করেন।

১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর সিপাহি জনতা বিপ্লবের পর জিয়াউর রহমান রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। ১৯৭৬ সালের ৮ মার্চ তিনি মহিলা পুলিশ গঠন করেন। ১৯৭৬ সালে কলম্বোতে জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন সম্মেলনে যোগদান করেন এবং বাংলাদেশ সাত জাতি গ্রুপের চেয়ারম্যান পদে পদোন্নতি লাভ করেন।

সে বছরেই তিনি উলশি যদুনাথপুর থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খনন উদ্বোধন করেন। ১৯৭৬ সালের ২৯ নভেম্বর মেজর জিয়া প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হন।

১৯ নভেম্বর ১৯৭৬ সালে তাকে পুনরায় সেনাবাহিনীর চীফ অফ আর্মী স্টাফ পদে দায়িত্বে প্রত্যাবর্তন করা হয়।

১৯৭৬ সালে গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠন করেন, ১৯৭৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি একুশের পদক প্রবর্তন করেন এবং রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত সায়েম এর উত্তরসূরি হিসেবে ২১ এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন।

রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন জিয়াউর রহমান দেশে আবার গণতন্ত্রায়ণের উদ্যোগ নেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র চালুর সিদ্ধান্ত নেন।

১৯৭৮ সালের ৩রা জুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জিয়াউর রহমান জয়লাভ করেন। রাষ্ট্র পরিচালনাকালীন সময়ে জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে অনেক উচ্চ পদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। বিপদের সমূহ সম্ভবনা জেনেও জিয়া চট্টগ্রামের স্থানীয় সেনাকর্মকর্তাদের মধ্যে ঘঠিত কলহ থামানোর জন্য ১৯৮১ সালের ২৯ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে থাকেন।

পরদিন ৩০ মে গভীর রাতে সার্কিট হাউসে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি শহীদ হন। প্রেসিডেন্ট জিয়ার জানাজায় বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ জনসমাগম ঘটে যেখানে প্রায় ৪০ লক্ষ্যাধিক মানুষ সমবেত হয় যা ইতিহাসের সব চেয়ে বড় জানাজা।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ