গৃহদাহে জড়জড়িত নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগ আর নেতারাই ডুবাচ্ছে নৌকা। এমনই অভিযোগ তৃনমুল নেতাকর্মীদের।
আগামী ৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নরসিংদীর পাঁচটি আসনের মধ্যে চারটিতেই রয়েছে শক্তিশালী সতন্ত্র প্রার্থী। নির্বাচনকে উৎসব মুখর ও প্রতিযোগিতা মূলক করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডামি বা সতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার অনুমতি দিয়ে ছিলেন। কিন্তু সেই ঘোষণা বুমেরাং হয়ে দেখা দিচ্ছে কি না, তা জনমনে প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।
নরসিংদীর ১, ৩, ৪, ৫ আসন গুলোর দিকে তাকালে দেখা যাবে, নির্বাচনে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে। সুষ্ঠু ও নিরেপক্ষ নির্বাচন হলে শিবপুর, মনোহরদী- বেলাব, রায়পুর নৌকা ডুবে গেলেও অবাক হবার কিছু থাকবে না।
নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি পীরজাদা মোহাম্মদ আলী এবং নরসিংদী পৌরসভার মেয়র আমজাদ হোসেন বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক মেয়র কামরুজ্জামান কামরুলের পক্ষে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। ইতিমধ্যে তিনি নৌকার বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাড়িয়েছেন। রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সহ কমিটির অধিকাংশ সদস্য বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমান চৌধুরীর নির্বাচন করছেন। শিবপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সেক্রেটারী ছাড়া সকলেই আটঘাট বেঁধে নৌকার বিরুদ্ধে নেমেছে। এমনকি বর্তমান এমপি ও নৌকা ডুবাতে মরিয়া। এমন অবস্থা চললে নির্ঘাত বিপর্যয়ের মুখে পড়বে নৌকা।
এমন অবস্থায় তৃনমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারা প্রকাশ্যেই বলছে, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক ভিত ভেঙে পড়েছে। ভবিষ্যতে এ ভীত আর কখনো শক্ত হবে কি না, তা প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। তারা আরও বলেন, নৌকা ডুবানোর জন্য নেতারাই দায়ী।