নরসিংদী সদর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উদ্দেশ্য ” মাইরের উপর ঔষধ নাই” বলা মামলায় দীর্ঘ ২০ দিন পর নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমন উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন বলে জানা যায়।
২১ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) হাইকোর্টের বিচারপতি হাবিবুল গনি ও আহমেদ সোহেল এর দ্বৈত বেঞ্চ এ জামিন মঞ্জুর করেন।
আসামী পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট মনছুরল হক চৌধুরী ও ব্যারিস্টার মোঃ আদনান সরকার। আর রাস্ট্র পক্ষে ছিলেন এডভোকেট একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
আসামী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আদনান সরকার জানান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমন নৌকা প্রার্থীর মতবিনিময় সভায় বেফাঁস বক্তব্য প্রদান করেন। তার বক্তব্যটি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর পরিপন্থী বলে সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ ওমর ফারুক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে তাকে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে। নিন্ম আদালত থেকে শুরু করে উচ্চ আদালত পর্যন্ত আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে দীর্ঘ শুনানির পর বিজ্ঞ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার হওয়ায় এবং সাপ্তাহিক দুইদিন ছুটি থাকায় তিনি সহসাই জেল হাজত থেকে বের হতে পারছেন না। তবে আগামী রবিবার উচ্চ আদালতের আদেশনামা পৌছোলে তিনি জেল হাজত থেকে বের হবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
উল্লেখ, ২৯ নভেম্বর নরসিংদী সদর-১ আসনের প্রার্থীদের উদ্দেশ্য ” মাইরের উপর ঔষধ নাই” বলে বক্তব্য প্রদান করেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমন।
তার বক্তব্যটি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর পরিপন্থী বলে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ ওমর ফারুক বাদী হয়ে নরসিংদী মডেল থানায় ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে একইদিনে একই ধারায় নরসিংদী-১ এর নির্বাচনী ইলেকটোরাল ইনকোয়ারী কমিটির সদস্য ও যুগ্ম জেলা জজ নাহিদুর রহমান নাহিদ আহসানুল ইসলাম রিমনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনের এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কেনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছে ২৪ ঘন্টার মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ওমর ফারুকের করা মামলায় পরেরদিন অর্থাৎ ১ ডিসেম্বর (শুক্রবার) দুপুরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন। পরে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরন করেন।