মাধবদী পৌরসভার মেয়র মোশারফ হোসেন মানিকের রাম রাজত্ব নিয়ে আজকের চেতনা পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর থেকে মাধবদীর সাধারণ মানুষের মাঝে সাহস সঞ্চার হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে মেয়র মানিকের রাম রাজত্বের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন অনেকেই। মেয়র মানিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী,দখলবাজী ও ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগের পাহাড় জমা হয়েছে আজকের চেতনা পত্রিকা কার্যালয়ে। পর্যায়ক্রমে মেয়র মানিকের সকল অপকর্ম জনসম্মুখে তুলে ধরা হবে। স্কুল মার্কেটে এক ব্যবসায়ীকে জোর পুর্বক বের করে দিয়ে সেই দোকান দখল করে নিয়েছেন মেয়র মানিক ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। জানাযায়, মাধবদী স্কুল সুপার মার্কেটে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ ব্যবসা করে আসছেন, জুতা ব্যবসায়ী সবুজ মিয়া। দোকান মালিক আলী আহাম্মদ ও ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ী সবুজের সাথে লিখিত চুক্তিপত্র থাকা স্বত্তেও দোকান মালিককে হুমকি ধামকি দিয়ে ভাড়াটিয়া সবুজের দোকানের তালা ভেঙ্গে মালামাল লুট করে নিয়ে যায় মেয়র মানিকের লোকজন। পরে সেই দোকানে ব্যবসা করার জন্য মেয়র মানিকের নিজস্ব বাহীনির সদস্য মামুনকে ব্যবসা করার জন্য দোকান দখল করে নেয়। এ ব্যপারে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সবুজ মিয়া মাধবদী খানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন সুরাহা করতে পারেননি।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সবুজ মিয়া জানান, আমি ৫ বছর ধরে এই দোকানে ব্যবসা করে আসছি। দোকান মালিকের সাথে আমার লিখিত চুক্তিনামাও আছে। দোকান মালিক আলী আহাম্মদ খুবই সহজ সরল মানুষ। তার সাথে আমি গত ৫ আগষ্ট থেকে আরো ৫ বছরের অগ্রীম ভাড়া পরিশোধ করে দোকান ভাড়ার চুক্তিনামা সম্পাদন করেছি। আমার ব্যবসায়ীক সফলতা দেখে সেই দোকানে লোলুপ দৃষ্টি পড়ে মেয়র মানিক বাহীনির সদস্য মামুনের। মেয়র মানিক দোকান মালিককে পৌরসভায় ডেকে নিয়ে, আমার সাথে দোকান ভাড়ার চুক্তিনামা বাতিল করে, মামুনকে দোকান ভাড়া দেওয়ার জন্য হুমকি প্রদান করেন। দোকান মালিক আলী আহাম্মদ রাজী না হওয়ায়, গত ৬ আগষ্ট মেয়র মানিক তার পৌরসভার কর্মচারীসহ সন্ত্রাসী বাহীনি পাঠিয়ে আমার দোকানের তালা ভেঙ্গে নগদ ৬ লক্ষ টাকা ও দোকানের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। প্রকাশ্যে লুটের ঘটনা আশে পাশের ব্যবসায়ী লোকজন দেখলেও মানিক বাহীনির বিরুদ্ধে কোন কথা বলার সাহস তাদের নেই। আমি নিরুপায় হয়ে মাধবদী থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন কাজ হয়নি। স্থানীয় প্রশাসনও রহস্যজনক কারনে মেয়র মানিকের রাম রাজত্বে নিরব ভুমিকা পালন করেন।
এ ব্যপারে দোকান মালিক আলী আহাম্মদ বলেন, আমার দোকানে বিগত ৫ বছর ধরে ব্যবসা করে আসছে সবুজ মিয়া। এবারো আরো ৫ বছরের জন্য অগ্রীম টাকা নিয়ে তাকেই দোকান ভাড়া প্রদান করেছি। কিন্তু মেয়র মানিক সাহেব আমাকে পৌরসভায় ডেকে নিয়ে সেই ভাড়া বাতিল করে, মামুনকে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন, এবং বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করেন। আমি রাজী না হওয়ায় তিনি তার লোকজনকে দিয়ে, দোকানের তালা ভেঙ্গে মালামাল নিয়ে যান। মেয়র মানিকের রাম রাজত্বে আমরা মাধবদীবাসী অসহায় হয়ে পড়েছি, তানাহলে আমার দোকান আমি কাকে ভাড়া দিবো আর না দিবো সেটাও ফয়সালা করবেন তিনি। হায়রে মগের মুল্লুক, প্রকাশ্যে দোকান লুট হলেও কেউ এগিয়ে আসার সাহস পেলোনা। …….. চলবে।