নিরবে নিভৃতে বাংলাদেশ ফুটবল প্রিমিয়ার লীগে পুলিশ এফসির বাজিমাত।
সদ্য বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের সমাপ্তি। পয়েন্ট টেবিলের ৩য় নম্বরে অবস্থান করছে বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব৷ একটি সার্ভিসেস দল হয়েও বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাবের এমন গৌরবময় অর্জন সত্যিই প্রশংসনীয় মনে করছেন দেশের ফুটবল প্রেমীরা। কিন্তু প্রিমিয়ার লীগের শিরোপা উঠেছে বসুন্ধরা কিংসের ঘরে, আর রানার আপ ঢাকা আবাহনী। এরপরের অবস্থানটাই বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাবের।লীগে ৩য় স্থান অর্জন বাংলাদেশ পুলিশ এফসির। ২০১৮-১৯ এ বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগে শিরোপা জিতে প্রিমিয়ার লীগে জায়গা করে নেওয়ার পরে এক নতুনত্ব বয়ে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ এফসি।
যেখানে দেশের ক্লাবগুলো গতানুগতিক ভাবে ছুটছেন আফ্রিকান ফুটবলারদের দিকে সেখানেই ব্যাতিক্রম বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব৷ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ২০২২-২৩ আসরে ছিল ল্যাতিনদের আধিপত্য। যার হাওয়া মূলত বয়ে এসেছে পুলিশ এফসি হতেই। দুই কলম্বিয়ান (মাতেও পালেসিয়াস, জোয়ান আরেঙ্গু) ও এক ভেনেজুয়েলানে (এডওয়ার্ড মরিলো) ভর করে বাজিমাত করে বাংলাদেশ পুলিশ এফসি। এই তিন বিদেশী থেকেই পুলিশ এফসি পেয়েছে ২০টি গোল। প্রিমিয়ার লীগের শিরোপা জয়ী ক্লাব বসুন্ধরা কিংসকে এবারের আসরে কেবল একটি মাত্র ক্লাবই পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ উপহার দিতে পেরেছে, আর সে ক্লাবটি হলো পুলিশ এফসি। পুলিশ এফসির এতোসব অর্জনের পেছনে নিরবে নিরলস শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন ক্লাবটির সেক্রেটারি ও বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি শেখ মোঃ রেজাউল হায়দার। তার সঠিক এবং সু-পরিকল্পনার বদৌলতে সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব। এতে উপকৃত হচ্ছে দেশের ফুটবল। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব হতে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে একাধিক খেলোয়াড় (রবিউল হাসান, ঈসা ফয়সাল) প্রতিনিধিত্ব করছে বাংলাদেশকে।
খেলোয়াড়দের সকল সুযোগ-সুবিধা বন্টন সহ একটি আদর্শ ফুটবল পরিবেশ ই যেনো গড়ে উঠেছে বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাবকে কেন্দ্র করে৷ শক্তিমত্তার বিচারে বহুল বাজেটের নামীদামি ক্লাবদের সাথেই পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব। আর সে পথে নেপথ্যে কারিগর ক্লাবটির বর্তমান সেক্রেটারি শেখ মোঃ রেজাউল হায়দার। সমর্থকদের চাওয়া বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব মাঠে তাদের পারফর্মম্যান্সের এই ধারা অব্যাহত রাখবে এমনটাই আশা করেন।