শিরোনাম :
নরসিংদী জেলা পুলিশের অভিযানে মাদকসহ আটক ৫৫ রাজনীতি করে কেউ জেলে গেলে, বাবার সম্পত্তি বিক্রি করতে হবেনা : মনজুর এলাহী নমিনেশনে সিনিয়র নেতাদের নাম নেই। তালিকা পরিবর্তন হতে পারে যে কোন সময় নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে গাঁজা ও বিলাসবহুল গাড়িসহ আটক ১ শিক্ষককে পিটিয়ে লাঞ্ছিত করলেন আব্দুল কাদির মোল্লা আমরা রাজনীতি করি এদেশের মাটি ও মানুষের জন্য : মনজুর এলাহী নরসিংদী জেলা পুলিশের অভিযানে আটক ৫১ নরসিংদীতে স্বামীর দেয়া আগুনে পুড়লো স্ত্রী সন্তানসহ ৫ জন সন্তান আবদার করলেই আরওয়ান ফাইভ কিনে দিবেন না : নরসিংদীর জেলা প্রশাসক পুলিশের দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ পেলেই শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে : নরসিংদীর পুলিশ সুপার
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১২:২৭ অপরাহ্ন

রায়পুরায় বন বিভাগের গাছের চারা নষ্ট করে অফিসার্স ক্লাব নির্মাণ

প্রতিনিধির নাম / ৪৩৫ বার
আপডেট : শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫

চেতনা রিপোর্ট: দেশজুড়ে যখন চলছে বৃক্ষরোপণের উৎসব। এমনই সময়ে গাছের চারা ধ্বংস করে ভবন নির্মাণের এক আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটেছে নরসিংদীর রায়পুরায়। সরকারের বন বিভাগের একটি নার্সারির প্রায় তিন হাজার গাছের চারা নষ্ট করে সেখানে নির্মাণ করা হচ্ছে অফিসার্স ক্লাবের বহুতল ভবন। ২৬ জুন বৃহস্পতিবার নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।

অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় স্থানীয় এক ঠিকাদার এই নির্মাণ কাজ পরিচালনা করছেন। বিধি মতে, বন বিভাগের জমিতে কোনো স্থাপনা তৈরির আগে অনুমতি নেয়ার কথা থাকলেও, এক্ষেত্রে কিছুই মানা হয়নি। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে বুলডোজার দিয়ে উপড়ে ফেলা হয় নার্সারির হাজার হাজার চারা। দ্রুত গতিতে চলছে ভবনের পাইলিং এবং কলাম ওঠানোর কাজ।

এ বিষয়ে রায়পুরা উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. হায়দার হোসেন জানান, ঘটনার সময় ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার বৃক্ষমেলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন তিনি।  সেখান থেকে ফিরে এসে তিনি নিজের নার্সারির এই অবস্থা দেখেন। কোনো রকম অবহিত না করেই এভাবে চারাগুলো নষ্ট করে ভবন নির্মাণ করছে উপজেলা প্রশাসন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নরসিংদীর পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। যে দিন দেশের প্রধান উপদেষ্টা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করছেন, ঠিক সে দিনই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এমন গাছ কাটার উদ্যোগে হতাশ অনেকেই।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদ রানার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। ফলে উপজেলা প্রশাসনের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

একদিকে সরকারের বৃক্ষরোপণ অভিযান, অন্যদিকে প্রশাসনেরই একটি অংশের গাছ ধ্বংসের এই দ্বিমুখী অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ করেছে সরকারের পরিবেশ নীতিকে। এই ঘটনায় দ্রুত কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয় কি না সংশ্লিস্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, এটাই দেখার বিষয় এখন। এমনই নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রায়পুরা উপজেলাজুড়ে।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ