শিরোনাম :
নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খোকন, সাধারণ সম্পাদক মনজুর এলাহী নির্বাচিত শিশুশ্রম: অর্থ উপার্জনের এক নিষ্ঠুর চক্রে বন্দী শৈশব জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো এপেক্স ক্লাব অব পল্লবীর পালাবদল নরসিংদীতে চাঁদার জন্য প্রবাসীর বাবাকে তুলে নিয়ে মারধর।। পুলিশ কর্তৃক উদ্ধার। নরসিংদীতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার নাকি অবহেলিত মাধবদীর বাসিন্দারা সৌদির রিয়াদে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনকে সংবর্ধনা নরসিংদী ডায়াবেটিক সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন বি-বাড়ীয়া বাসীর আস্থার প্রতিক ওসি মোজাফফর রায়পুরায় মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে নরসিংদীতে স্মারকলিপি প্রদান
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৭ পূর্বাহ্ন

টেলিফোন জাস্টিস থেকে, মব জাস্টিস

এবিএম আজরাফ টিপু / ৭৪ বার
আপডেট : সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫

আমরা সবাই জানি, যে দেশে ন্যায়বিচার নেই, সে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনা। দেশে ন্যায়বিচার প্রায় নেই বললেই চলে। আগে ছিল টেলিফোন জাস্টিস, এখন মব জাস্টিস।
বর্তমান সময়কালে মিডিয়াও এর বাইরে নয়। আমরা প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত এক ধরনের নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমাদেরকে সেলফ সেন্সরশিপ ঘিরে ধরেছে। আটকে যাচ্ছি মিডিয়ার স্বাভাবিক গতিপথে।
তাই মিডিয়া নীরব। সেলফ সেন্সরশিপ আমাদের এক ধরনের কালচারে পরিণত হয়েছে। এখন কেউ হয়তো বলে না, কোন খবর যাবে, কোন খবর যাবে না। কিন্তু আমরা নিজ থেকেই সিদ্ধান্ত নেই, কোন খবরটা যাবে অথবা যাবেনা। কাউকে কিছু বলি না।, অথবা বলাটা কঠিন। লেখা তো আরও ঝুঁকিপূর্ণ। অদৃশ্য শক্তি নয়, প্রকাশ্যেই এসব ঘটছে। কেউ প্রতিবাদ করে না অথবা সাহস পায়না। সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সংগঠনগুলো নিশ্চুপ। তারা কথা বলতে অনিচ্ছুক। দালালী করতেই বেশি পছন্দ করে। আগে প্রাপ্তির কাছে আমরা নিজেদের সঁপে দিয়েছিলাম। নেমেছিলাম এক ধরনের প্রতিযোগিতায়। এখন এক অজানা ভয় পেছনে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে।
মানুষ বিরক্ত। মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে সাংবাদিকদের ওপর থেকে। একদিকে বিভাজন, অন্যদিকে অজানা ভয় কাবু করে ফেলেছে গোটা মিডিয়া সমাজকে। প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মিডিয়া বলুন, সবখানেই একই অবস্থা। এ পরিস্থিতি হঠাৎ করে হয়নি। স্বাধীনতার পরপর আমরা এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলাম। শেখ মুজিব চারটা ছাড়া সকল মিডিয়া বন্ধ করে দিয়েছিল।সেখান থেকে কিছুটা হলেও পরিত্রান দিয়ে ছিল জিয়াউর রহমান। এরশাদের সামরিক জমানায় ছিলাম নির্বাক। এরপর এলো নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র। সেখানেও কমবেশি নিয়ন্ত্রণ। হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনে আমরা মিডিয়ার পরিচয় ভুলে গিয়েছিলাম। জনগণকে সাক্ষী রেখেই আমরা নিজেদের আত্মপরিচয় বিলুপ্ত করেছিলাম। এতে দেশবাসী লজ্জা পেলেও আমরা পাইনি। এখন এজন্য আমাদের কড়া মূল্য দিতে হচ্ছে। তাদের কারণেই মিডিয়া আজ অনেকটা অস্তিত্ব সংকটে। এখন সত্য খবরের পেছনে কেউ ছোটে না। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বিদায় নিয়েছে। এর পেছনে অনেকেই উদ্দেশ্য খোঁজেন। লাগিয়ে দেন বিভিন্ন ‘ট্যাগ’। এ কারণে খবরের পেছনের খবর খুঁজে বের করতে কেউ সাহসী হন না। মিডিয়া হাউসগুলো সময়ের সঙ্গে ভোল পাল্টাচ্ছেন অনেকটা অযৌক্তিকভাবে। ডিজিটাল, সাইবার সহ নানা আইন মিডিয়ার গতি রোধ করছে। এ পরিস্থিতির উন্নতি কি সম্ভব? কেউ কেউ বলেন, অবশ্যই সম্ভব। রাজনীতিবিদদের শুভ বুদ্ধির উদয় হলে রাতারাতি পরিস্থিতি পাল্টাবে। তবে কেন যেন আমার মনে হয়, সাংবাদিকদের বিবেকের ওপর চাপ না বাড়লে কোনোদিনই পরিস্থিতি পাল্টাবে না। মানুষ ভুল করলেও, ইতিহাস ভুল করে না। স্বাধীন দেশের মুক্ত সাংবাদিকতা বরাবরই অনুপস্থিত। এজন্য রাজনীতিবিদদের এককভাবে দায়ী করা যাবে না। এজন্য আমরা নিজেরাও অনেকাংশে দায়ী। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরাই নিজেদের বিপদ ডেকে এনেছি। অন্যের কণ্ঠ রোধ করার খবরে হাততালি দিয়েছি। বিশেষ জায়গায় গিয়ে বলেছি, যা করেছেন ঠিক করেছেন। এ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সে পথ আমাদের সকলকেই খুজে বের করতে হবে।
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ