২০২৩ সালের শুরুর দিকে এলাকাবাসী চরভাষানিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি হাবিবউল্লাহর বিরুদ্ধে অর্থ লুটপাট ও নানা অনিয়মের অভিযোগ আনলে তখনকার পরিচালনা পর্ষদের সিন্ধান্তে হাবিবউল্লাহকে মাদ্রাসার হিসাব পরিশোধের তিনমাস সময় বেধে দেয়া হলেও কতিপয় অসাধু সদস্যের সহযোগিতায় বছরের অধিক সময় অতিক্রান্ত করেও হিসাব দেননি তিনি। এতে এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এলাকাবাসী অর্থ লুটপাট ও নানান অপকর্মের কারণে গত জুলাইয়ের শুরুর দিকে হাবিবউল্লাহ এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে এবং তার বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দেয়া হয় পাইকারচর ইউনিয়নে। পাইকারচর ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান আবুল হাশেমের এ প্রসঙ্গে বলেন আমরা ওনার ব্যাপারে অভিযোগ অনেক আগেই পেয়েছি কিন্তু কিছু স্বার্থন্বেষী মহলের জন্য বিষয়টি আগানো যাচ্ছে না৷
রেজিস্টার বই থেকে দেখা যায় মাত্র ৩ মাসেই মুফতি হাবিবুল্লাহ অর্থ লুটপাট করেছে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা৷ এমন পরিস্থিতিতে এলাকাবাসীর সাথে অধ্যক্ষের সম্পর্ক নষ্ট হয় এবং মাদ্রাসার মোতাওল্লী অনির্দিষ্টকালের জন্য মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করেন। এর ফলে শতশত শিক্ষার্থী বঞ্চিত শিক্ষা থেকে, এছাড়াও প্রায় ৪০ জনের মত মাদ্রাসার শিক্ষক ও কর্মী জীবন পার করছে অনিশ্চয়তার মধ্যে।
এলাকাবাসীর তোপের মুখে গত ১৭ আগস্টে মাদ্রাসার আঞ্চলিক শিক্ষা বোর্ড তানজিমের ২ সদস্যের তদন্ত কমিটি ও মাদ্রাসার মুতাওয়াল্লি ডা. মাহবুবুর রহমানসহ প্রায় ৪০ জনের অধিক জনসংখ্যা নিয়ে মিটিংয়ে মুফতি হাবিবউল্লাহ অর্থ লুটপাটের বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
তানজিমের তদন্ত কমিটির সদস্য মাও.ইলিয়াস শেরপুরী বলেন তার অর্থ আত্মসাৎ এর বিষয়টি নিয়ে আমাদেরও খটকা লেগেছে। কারন একটা প্রতিষ্ঠান এভাবে চলতে পারে না৷
পরবর্তিতে মাদ্রাসা খুললে ও তার অর্থ লুটপাটের ঘটনাটি জানাজানি হলে রাগে খোভে মাদ্রাসার ৬ জন প্রবীণ শিক্ষককে বহিষ্কার করে প্রিন্সিপাল মুফতি হাবিবউল্লাহ। সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে হাবিবউল্লাহ মোবাইল ফোনে জানায় তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না এবং অর্থ আত্মসাৎ তিনি করেননি।
বর্তমান মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি হাবিবউল্লাহকে অপসারণের দাবী এলাকাবাসী ও সুশীল সমাজের।