নরসিংদীর রায়পুরায় সরকারি আদিয়াবাদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ অধ্যক্ষ ড. নুর সাখাওয়াত হোসেন মিয়ার পদত্যাদের দাবি উঠেছে। তার বিরুদ্ধে শিক্ষকদের ভয় দেখিয়ে টাকা নেওয়াসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৯ আগস্ট) টানা তৃতীয় দিনের মতো ক্যাম্পাসে অধ্যক্ষের পদত্যাগ ও বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষার্থী ওমর খন্দকার সরকার বলেন, প্রতিষ্ঠান জাতীয় করণের সময় বাদ পরার ভয় দেখিয়ে শিক্ষকদের কাছ থেকে এক লাখ ১০ হাজার ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের থেকে ৫৫ হাজার টাকা করে মোট ৩৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন অধ্যক্ষ নুর সাখাওয়াত হোসেন মিয়া। কলেজের নামে ব্যাংকে হিসাব নম্বর থাকার সত্বেও তিনি ব্যক্তিগত হিসাব নম্বরে টাকা জমা করতেন। সেখান থেকে নামে-বেনামে খরচ করতেন টাকা। প্রতিষ্ঠানের জন্য কেনা একটি এসি নিজের নরসিংদীর বাসায় লাগান তিনি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে বাগানের জন্য পাওয়া পুরো তিন লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। শিক্ষা উপকরণ বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে বাড়তি টাকা আদায় করতেন। বাসার ইন্টারনেট, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ, দামি স্মাট ফোন ও ল্যাপটপ কিনতেন প্রতিষ্ঠানের টাকায়।
বক্তারা আরো বলেন, বিগত দিনে অধ্যক্ষ নুর সাখাওয়াত হোসেনের স্বেচ্ছচারিতা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে লাঞ্ছিত হয়েছেন শিক্ষকরা। কৌশলে শিক্ষকদের বেতন আটকে দিতেন তিনি। এছাড়াও তিনি ও সাত্তার ড্রাইভার মিলে সাবেক এমপি রাজিউদ্দিন রাজুর অনৈতিক কাজের যোগানদাতা ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অধ্যক্ষের পদত্যাগসহ বিচার না হওয়া পর্যন্ত ক্লাশে ফিরে যাবেন না বলে জানান সরকারি আদিয়াবাদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সেই অধ্যক্ষ নুর সাখাওয়াত হোসেন মিয়াকে সরকারি আদিয়াবাদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে গিয়ে যাওয়া যায়নি। আ. লীগ সরকার পতনের পর ৬ আগস্ট থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়। তারপর থেকে অনুপস্থিত তিনি। এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোন একাধিক বার কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে সর্মথন জানিয়েছেন সরকারি আদিয়াবাদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সকল শিক্ষাক ও কর্মচারীরা। সহকারি প্রধান শিক্ষক মাহতাব উদ্দিন বলেন, অধ্যক্ষ নুর সাখাওয়াত হোসেন দুর্নীতি করেছে। আমরা তার পদত্যাগ চাই।