 
						নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা বিএনপির বিষফোড়া হয়ে উঠেছে খন্দকার মুশতাক আহমেদ। এক সময়ে বিএনপি নেতা হিসেবে ঢাকার মতিঝিল এলাকায় জাদরেল কমিশনার খ্যাতি থাকলেও বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে বিএনপির দুর্দিনের সময়, আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে আতাত করে, নিজের স্বার্থ হাসিল করেছেন। আওয়ামী দোসরদের সাথে সখ্যতা গড়ে অর্থ ও নারী কেলেংকারীতে সারাদেশে সমালোচনার কেন্দ্র হয়ে উঠেন। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য হয়ে একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী তিশাকে বিয়ে করে, ঢাকা থেকে বিতাড়িত হয়ে নরসিংদীর শিবপুরের সৈয়দ নগরে নিজ বাড়ীতে চলে আসেন। ৫ আগষ্টের পর বিএনপির সুসময় শুরু হলে আবারো তিনি নিজেকে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় করার চেষ্টা করছেন।

সম্প্রতি শিবপুর উপজেলা বিএনপির কিছু সভা সমাবেশে তাকে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে। সেসব সভা সমাবেশের ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেলে, শিবপুর উপজেলা বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে সমালোচনার ঝড় শুরু হয় জেলা জুড়ে। সেই ক্ষোভে অর্থ ও নারী লোভী খন্দকার মুশতাক আহমেদের বিচার দাবী করে, শিবপুর ও নরসিংদীর সর্বস্তরের জনগণ আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে ছবি সম্বলিত পোষ্টারে ছেয়ে যায় জেলাসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন একজন বিএনপি নেতা বলেন, খন্দকার মুশতাক আহমেদ যেহেতু শিবপুর উপজেলা বিএনপির কমিটিতে আছেন, তাই তিনি সভা সমাবেশে আসলে কেউ কিছু বলতে পারেন না, আবার সহ্যও করেন না। কিন্তু সাধারণ মানুষ সেটাকে ভালো চোখে দেখেন না। এমন একজন সমালোচিত ব্যক্তির জন্য বিএনপির সুনাম নষ্ট হচ্ছে। সে এখন বিএনপির বিষফোড়া।