 
						এবার নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষককে পিটিয়ে লাঞ্ছিত করে, কলেজ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, সারাদেশে শিক্ষানুরাগী হিসেবে পরিচিত, থার্মেক্স গ্রুপ ও স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আব্দুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির মোল্লা’র বিরুদ্ধে। শিক্ষককে পিটিয়ে কলেজ থেকে বের করে দেওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে, জেলা জুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে।
মারধোর ও লাঞ্ছিতের শিকার আব্দুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজের শিক্ষক রাকিব হোসাইনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া বক্তব্যটি হুবহু তুলে ধরা হলো। 
“আমার অপরাধটা আসলে কী ছিল, আজও বুঝে উঠতে পারিনি। কলেজের স্কাউট ইউনিটের দায়িত্ব পালন করে আমি সবসময় ছাত্রদের শৃঙ্খলা, মানবতা আর দায়িত্ববোধ শেখানোর চেষ্টা করেছি। জাতীয় সংগীত বাজানোর ঘটনাটাতে আমি কোনোভাবেই দায়ী ছিলাম না — সেটি ছিল মাইক অপারেটরের ভুল। তবুও চেয়ারম্যান স্যার আমার আইডি কার্ড কেড়ে নেন, পরে আবার বললেন চাকরিতে যোগ দিতে। কিন্তু গতকাল কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেন।
আজ প্রশ্ন একটাই — একজন শিক্ষককে এভাবে অপমানিত, পিটিয়ে, কলেজ থেকে বের করে দেওয়ার অধিকার কে দিয়েছে? স্বৈরাচারী আচরণ আর ভয়ভীতির রাজত্বের কারণে অনেকে চুপ থাকছেন, কিন্তু অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই যদি শাস্তি হয়, তাহলে শিক্ষার পরিবেশ কোথায়?” 
(আজকের প্রেক্ষাপট থেকে বক্তব্যটি সংগৃহীত)
অর্থের বিনিময়ে শিক্ষা বানিজ্যের কারিগর ও নারী কেলেংকারীর হোতা আব্দুল কাদির মোল্লা’র কুকর্মের কাহিনী আসছে খুব শীঘ্রই।