নরসিংদীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ইজি বাইক ও মিশুক যেন হয়ে উঠেছে এক আতঙ্কের নাম। নগরীর প্রধান সড়কগুলোতে অটোরিকশা, ইজি বাইক ও মিশুক চালকদের বেপরোয়া ও অসতর্ক চালানোর ফলে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট প্রতিনিয়ত ঘটে ছোট-বড় সড়ক দূর্ঘটনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, বেশির ভাগ অটোরিক্সা, ইজি বাইক ও মিশুক চালক বয়সে কম এবং ট্রাফিক নিয়ম সম্পর্কে কিছুই জানেনা। অধিক যাত্রী নেওয়া, ট্রাফিক আইন অমান্য করে উল্টো পথে চলাচল এবং যত্রতত্র থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করানোর কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। অনুমোদনের চেয়ে বহুগুণ বেশি অটোরিকশা, ইজি বাইক ও মিশুক চলাচল করায় শহরের প্রধান সড়কগুলোতে মারাত্মক যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে ব্যস্ত সময়গুলোতে জেলখানার মোড়, সুতাপট্টির মোড়, হেমেন্দ্র সাহার মোড়, আরশিনগর, খালপাড়, উপজেলা মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় যান চলাচল প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই দেখা যায় অটোরিকশা ও মিশুকের ধাক্কায় পথচারী বা অন্য যানবাহনের আরোহীরা আহত হচ্ছেন। যার ফলে প্রতিদিনই কয়েকজন দূর্ঘটনাগ্রস্ত ব্যক্তি চি-কিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে আসছেন। শহরের যানবাহন ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরাতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি, নতুবা অটো রিক্সা দূর্ঘটনা আরো প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে এমনটাই আশঙ্কা নাগরিকদের।
একজন মোটর সাইকেল আরোহী তানভীর হাসান বলেন, অটো রিকশা চালকরা এক তো ওভার স্পিডে চালায়, আবার তারা সামনে না তাকিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে গাড়ি চালায়। যার কারণে সামনে কি আছে সেটা না দেখেই এসে ধাক্কা লাগিয়ে দেয়। এখন পর্যন্ত আমার, মোটরসাইকেলে তিন বার অটো রিকশা ধাক্কা দিয়ে আমাকে ফেলে দেয়। তাদেরকে সিগনাল দিলেও তারা বুঝেনা। যার কারণে এ দূর্ঘটনার সম্মুখিন হতে হয়। এ ব্যাপারে ট্রাফিক পুলিশ নজর দিবেন কি?