দূর্ণীতি ও অনিয়ম ঢাকতে ভারতে পালাতে চান সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি মাসুদা সিদ্দিক রোজী। সম্প্রতি দূর্নীতি ও অনিয়মে অর্জিত সম্পদ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সংবাদ প্রকাশ হলে নানাভাবে সেগুলো ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায় সাবেক এমপি মাসুদা সিদ্দিক রোজী। সব চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে আপন ভাই ড. মইনুল ও ব্যক্তিগত আইনজীবী পরিচয় দেওয়া জামান উদ্দিনের মাধ্যমে সকল জরুরি কাগজপত্র, দলিল, স্বর্ণ অলংকার
ইতোমধ্যেই নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে ফেলেছেন বলে জানা গেছে। বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, গোয়েন্দা নজরদারি অন্য দিকে নিতে ৬ সেপ্টেম্বর রাতে নিজ বাসায় থাকেননি তিনি। ৭,৮ও ৯ তারিখের
মধ্যে সিমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতেও বিভিন্ন মাধ্যমে চেষ্টা করেছেন তিনি। নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে ড. মাসুদা সিদ্দিক রোজী ইতোমধ্যে বিএনপি পন্থী অনেকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন, প্রশাসনকে ম্যানেজের তদবির করেছেন। কিন্তু কোন ঔষধে কাজ না হওয়ায় রোগী এখন বিকল্প
চিকিৎসা হিসেবে পরিস্থিতি ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার ঘনিষ্ট একজন জানিয়েছেন ৩০/৩৫ লাখে মোটামুটি চুক্তি হয়েই আছে।
তবে বর্ডার থেকে সাবেক বিচারপতি মানিক, নৌপথে সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় তিনিও ভয়ে আছেন। আর ম্যানেজ করতে পারলে এত রিস্কও নিতে হয় না।
সেজন্য ৭ বা ৮ সেপ্টেম্বর শেষ চেষ্টা করবেন বলে জানা গেছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, মাসুদা সিদ্দিক রোজী বিভিন্ন সংস্থার সাথে জড়িত। তিনি নরসিংদী মহিলা চেম্বার এর চেয়ারম্যান। আর এই সংগঠনটিও তিনি অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে দখল করেছেন। যারা এই ওমেন চেম্বার এর প্রতিষ্ঠাতা তাদেরকে না জানিয়ে মোটা অংকের ঘুষের মাধ্যমে তিনি তা দখলে নেন। তিনি আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এসব বিষয়ে জানার জন্য একাধিকবার ফোন করলেও ফোন বন্ধ থাকায় সাবেক এমপি মাসুদা সিদ্দিক রোজীর সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।