৩৬ শে জুলাই বিপ্লব সফল হয়েছে কয়েক মুহুর্তের একটা ঘটনায়। আবু সাঈদের শহীদি মৃত্যু বারুদের মত অগুন ছড়িয়ে পরেছিল দেশের আনাচে কানাচে। তার মৃত্যুর ভিডিওটা হাসিনা পতনের লড়াইকে সফলতায় পৌছে দিয়েছে। এই মৃত্যু এতোই মহীয়ান ও গৌরবান্নিত ছিলো যে বাংলাদেশের সকল তরুণ আবু সাঈদ হতে চেয়েছে। সাঈদ নির্ভয়ে বুলেটের সামনে নিজের বুক পেতে দিয়েছে।
এমনই ভাবে নরসিংদীর দশম শ্রেণির ছাত্র তাহমিদ পুলিশের গুলির সমনে নিজের বুক পেতে দিয়েছে। শুধু তাহমিদ নয়, নরসংদীর অর্ধশতাধিক তরুন অকাতরে নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছে দেশ স্বৈরাচার মুক্ত করতে। এটাই তারুণ্যের ধর্ম। আবু সাঈদ, তাহমিদের মৃত্যু শুধু বাংলাদেশের নয় সারা দুনিয়ার তারুণ্যের সামনে আদর্শ হয়ে থাকবে।
এই লড়াই অন্যভাবে শেষ হতে পারতো। হাসিনা ফুল কন্ট্রোল হয়তো নিয়ে নিতে পারতো। কিন্তু পারে নাই। আর্মি গুলি যেন না করতে সেইটা নিশ্চিত করা হয়েছিল। সারা পৃথিবীতে এমন অসংখ্য ছোট ছোট কিন্তু অতি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ ছিলো, যা হাসিনার পরাজয়কে অবশ্যম্ভাবী করে তোলে।
হাসিনার জিঘাংসা এবং প্রতিহিংসা মূলক মনোভাব তার পতনকে ত্বরান্বিত করেছে।
নরসিংদীর তাহমিদ সহ জানাঅজানা শত শহীদের রক্তেরঞ্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতার মূলমন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলেই তাঁদের আত্মা শান্তি পাবে।