শিরোনাম :
এপেক্স ক্লাবস্ অব বাংলাদেশ এর বোর্ড মেম্বারদের ওরিয়েন্টেশন পোগ্রাম অনুষ্ঠিত নরসিংদীতে ফতোয়া বোর্ডের ফিকহী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত দ্যা সোসাইটি অব ব্রিটিশ বাংলাদেশি সলিসিটরসের দায়িত্বে গাফ্ফার ও মুনশাদ সরকারী আদিয়াবাদ ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বাইপাস সড়ক বাতিলের দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ  নরসিংদীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ী ও পরিষদে হামলা, নিহত ১ সাংবাদিক মনির হায়দার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন সাত দিনের রিমান্ডে ১০ ছাত্রলীগ নেতা, নরসিংদীতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুর নরসিংদীতে কৃষক দলের সমাবেশে সন্ত্রাসী হামলায় ৫জন আহত ক্রীড়া সংস্থার ডায়নামিক কমিটির প্রত্যাশায় নরসিংদীবাসী
মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

স্টাফ রিপোর্টার / ৩১০ বার
আপডেট : বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

গত ১৫ জুলাই ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকায় “কর্মকর্তা হয়েই নাঈমের সাড়ে চার কোটি টাকার ডুপ্লেক্স বাড়ি “শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটির প্রতিবাদ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন নরসিংদী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাঈম মিয়া।
নাঈম মিয়া স্বাক্ষরিত প্রতিবাদ লিপিতে জানান, প্রকাশিত সংবাদে প্রতিবেদক আচরণ পরিপন্থি ও ঈর্ষান্বিত হয়ে, উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে আমার ও আমার পরিবারের মান সম্মান ক্ষুন্ন করেছেন। আমার মনে হয় প্রতিবেদক স্বীয় স্বার্থ চরিতার্থ করতে না পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে আমার সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করার পায়তারা করেছেন। তানাহলে প্রতিবেদক সরাসরি আমার অফিসে এসে, সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে বিস্তারিত জেনে সংবাদটি প্রকাশ করতে পারতেন।
প্রকাশিত সংবাদে ৪০ বছরের পুরোনো প্রায় ব্যবহার অনুপযোগী বাড়িটি ক্রয় বিষয়ে প্রতিবেদক মনগড়া তথ্য উপস্থাপন করেছেন। আমরা ৪ ভাই ১ বোন বাবা মাসহ যৌথ পরিবারে বসবাস করি। আমার দুই ভাই দুবাই ও জার্মান প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা। একমাত্র বোনও স্বামীসহ প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা। আমি,আমার স্ত্রী ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সরকারি চাকুরীজীবি। আরেক ভাই ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ার হয়ে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরীরত। পারিবারিক সিদ্ধান্তে বাড়িটি ৩ জনের নামে ক্রয় করা হয়। এই বাড়িটি ক্রয় করতে,দুটি ব্যাংক লোন,বর্তমানে বসবাসরত প্রায় সাড়ে ৬ শতাংশ বাড়ী,সাড়ে ৫ শতাংশ জমিসহ স্ত্রীদের স্বর্ণালংকার বিক্রি করেছি।
অপরদিকে আমার স্বেচ্ছাচারিতায় সেবাপ্রার্থীরা সর্বশান্ত হচ্ছে, এ কথাটি কাল্পনিক ও মিথ্যা। এ অফিসের মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন সার্ভেয়ার ও কানুনগে। অফিসের ক্ষতিপুরণ বিল প্রস্তুত করেন সার্ভেয়ার এবং কানুনগো। এর যাচাইয়ান্তে বিল অনুমোদন করেন ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা। অতপর আমি পরবর্তী কার্যক্রম হিসেবে জেলা একাউন্টস্ এন্ড ফিনান্স অফিসে প্রেরণ করি। মাঠ পর্যায়ের কাজ এবং ক্ষতিপুরন প্রদানে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। আমার পক্ষে স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির কোন সুযোগও নেই। সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দেশ্যপ্রনোদিত হয়ে অন্যের প্ররোচনায় আমার সামাজিক সুনাম ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে মনগড়া প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন।
বারৈচা বাজার বণিক সমিতিও সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন যে অভিযোগ করেছেন,এ কথাটিও কাল্পনিক ও মিথ্যা। উক্ত কবির হোসেন এর সাথে আমার কোন ব্যক্তিগত পরিচয় ও সম্পর্ক নেই। আমি অদ্যবদি তাকে চিনি না। অধিগ্রহণের মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন সার্ভেয়ার ও কানুনগো। ফিল্ডের কাজ চুড়ান্ত হলে,অবকাঠামোর মুল্য নির্ধারণ করার জন্য গণপূর্ত বিভাগে প্রেরণ করা হয় এবং জমির মূল্য আইন ও বিধি মোতাবেক নির্ধারণ করা হয়। উক্ত কাজগুলো সম্পূর্ণই অফিসের সার্ভেয়ার ও কানুনগো সম্পাদন করে থাকেন। এসকল কাজের সাথে আমার কোন সম্পর্কও নেই। সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে অন্যের প্ররোচনায় আমার সামাজিক সুনাম ক্ষুন্ন করার উদ্দোশ্যেই এ মনগড়া প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে আরও গভীরভাবে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন প্রকাশ করা উচিৎ ছিলো বলে আমি মনে করি।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ