আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি ব্যবসায়ী এবং পর্যটকদের নিরাপত্তা প্রদান করে প্রশংসায় ভাসছেন নরসিংদীর মাধবদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান। তিনি মাধবদী থানায় যোগদানের পর থেকেই নিজ যোগ্যতা আর দক্ষতা দিয়ে এলাকাবাসীর মন জয় করে নিয়েছেন। সেই সাথে মাত্র সাত মাসেই একজন সফল ওসি হিসেবে যত গুণাবলী প্রয়োজন তা তিনি দেখাতে সক্ষম হয়েছেন।
গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ অবদান,শৃঙ্খলামূলক আচরণসহ সেবামূলক কাজে প্রশংসনীয় অবদান রাখায় আইজিপি পদক পেয়েছেন। শুধু দেশে নয় জাতিসংঘ মিশনে গিয়েও উপদেষ্টা হিসেবে বেশ সুনামের সাথে কাজ করে প্রশংসিত হয়েছেন।
তিনি এই থানায় যোগদানের পর থেকে থানা এলাকা থেকে টাউট-বাটপার ও দালালদের দৌরাত্ম বন্ধ হয়েছে। পুলিশী সেবা গ্রহীতাদের এখন আর দূর্ভোগ পোহাতে হয় না। মাদক বিরোধী অভিযানেও সফল হয়েছেন ওসি কামরুজ্জামান ।
ধনী-গরীব সবার জন্য ওসির দরজা সব সময় উন্মোক্ত করার পাশাপাশি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসা, ডাকাতি, চুরি, ছিনতাইসহ সকল অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভুমিকা পালন করছেন তিনি।
এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ কালে ওসি কামরুজ্জামান বলেন, আমি মাধবদী থানায় যোগদান করার পর জেলা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম স্যারের নির্দেশনা ও তত্বাবধানে আমি মাধবদীতে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ ভাব বজায় রাখতে সবসময় সচেষ্ট। আমার থানা এলাকায় কেউ অপরাধ করে পার পায়না। অপরাধের সন্ধান পেলে আমি নিজেই অভিযানে নেমে পড়ি।
আমার থানা এলাকায় দূর্গম চরাঞ্চল ইউনিয়ন হচ্ছে চরদীগলদী। চারদিকে নদী বেষ্টিত এই ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুটি গ্রুপের মধ্যে ভয়ানক টেটা যুদ্ধ লেগে যায়। কিন্ত আমি যোগদানের পর পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম স্যারের নির্দেশনায় বেশ কিছু পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছি, যার কারণে এখনো পর্যন্ত কোন সংঘর্ষ বা টেঁটা যুদ্ধ লাগতে পারে নি।
তাছাড়া শিল্পাঞ্চল খ্যাত মাধবদী থানা এলাকায় অর্ধশতাধিক ব্যাংক,বীমাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের নিরাপদ লেনদেনে সহায়তা প্রদানে পুলিশের আলাদা নজরদারি থাকায় চুরি ছিনতাই বা ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটেনি। আমার থানা এলাকায় হেরিটেজ রিসোর্ট ও ড্রীম হলিডে পার্ক নামে দুটি বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে, যেখানে প্রতিদিন দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটক ও দর্শনার্থীরা আসেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের বিশেষ নজরদারি থাকায় কোনরকম ভোগান্তি হয়না।
তিনি আরো বলেন, মানুষের সেবা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা আমার দায়িত্ব। ওসি হিসেবে যতদিন কর্মরত আছি, ততদিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিরলস ভাবে আমার দায়িত্ব পালন করবো। যাতে করে মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে ও স্বস্থিতে থাকতে পারে।