দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডামি প্রার্থী, ভোটারের পর ডামি পর্যবেক্ষকও নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। তার মতে জালিয়াতি, কারচুপির মাধ্যমে এটি ছিল প্রহসনের নির্বাচন। সোমবার ৮ জানুয়ারি দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ডামি প্রার্থী, ডামি ভোটারের পর ডামি পর্যবেক্ষকও নিয়োগ করেছে। নতুন নির্বাচিত সরকারকে বাংলাদেশের হাস্যরসপ্রিয় মানুষ অব দ্য ডামি, ফর দ্য ডামি, বাই দ্য ডামি বলবে।
মঈন খান বলেন, জনগণ বিশ্বাস করে একদলীয় বাকশালি সরকারের অধীনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। এখানে যেটা হচ্ছে, সেটা ভোট ডাকাতি আর ভোট নিয়ন্ত্রণ। এ নির্বাচনে কোন প্রার্থী বিজয়ী আর পরাজিত সেটা ছিল পূর্বনির্ধারিত। ১৪, ১৮ ও ২৪ সালে নির্বাচনে সরকার এ দেশের মানুষের যে ভোটাধিকার সেই ক্রমপর্যায়ে ছিনিয়ে নিয়েছে।
পাতানো নির্বাচন মন্তব্য করে মঈন খান বলেন, গতকাল এই পাতানো নির্বাচন মাধ্যমে আওয়ামী লীগের শোচনীয় নৈতিক পরাজয় হয়েছে। যে কংগ্রেসম্যান নারী নির্যাতনের দায়ে বহিষ্কৃত হয়েছেন তাকে এই বর্জনের নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসেবে এনেছে আওয়ামী লীগ সরকার। নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করায় দেশের জনগণকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়ে বিএনপি আগামীকাল থেকে এই সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনে অংশগ্রহণে গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করবে।