নরসিংদী জেলার মাধবদী থানার কাঁঠালিয়া ইউনিয়নে গত ৩১ অক্টোবর সালিশ দরবারে হামলা চালিয়ে তিনজনকে আহত করেছে।
জানাযায়, কাঠালিয়ার ফুজুরকান্দি এলাকার অহিদ মিয়ার ছেলে রহিছ আলী হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এব্যাপারে আহত রহিছ আলীর মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায় ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পূর্বে ফুজুরকান্দী হাফিজিয়া মাদ্রাসা মাঠে ওয়াজ মাহফিলে বাক বিতন্ডা ও হাতাহাতি হয় মৈষাদী এলাকার হাসু মিয়ার ছেলে নূরা ও তার সঙ্গীদের সাথে ফুজুরকান্দী এলাকার অহিদ মিয়ার ছেলে রহিছ আলীদের সাথে, উক্ত ঘটনায় এলাকায় গন্যমান্য ব্যক্তিগন মীমাংসা করিয়া দেওয়ার জন্য ৩১ অক্টোবর ফুজুরকান্দী হাফিজিয়া মাদ্রাসা মাঠে গন্যমান্য ব্যক্তিগন ও জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতে এক সালিশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সালিশে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় ধারালো রাম দা ও লাঠিসোটা নিয়ে হাজির হয়, ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলীর পরিকল্পনায় নূরার নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী । সালিশ বৈঠক শুরুর এক পর্যায়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রহিছ আলীর উপর অতর্কিত হামলা চালায় নূরা বাহিনী। রাম দা দিয়ে রহিছ আলীকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে মাথা বরাবর কোপ দিলে উক্ত কোপ বাম চোখের উপরে ও নিচে লাগিয়া গুরুত্বর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। রহিছ আলীকে বাচাতে দৌড়ে আসে মিলন মিয়া আবু মিয়া ও তার সহযোগীরা তাদের উপর ও হামলা চালায় মোহাম্মদ আলী ও নূরা বাহিনী । উক্ত ঘটনায় রহিছ আলী সহ তিন জন আহত হয়, গুরুত্ব আহত অবস্থায় রহিছ আলীকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়, তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন, অন্যরা নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এ বিষয়ে রহিছ আলীর মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে বিজ্ঞ মাধবদী সি আর আমলী আদালত নরসিংদীতে মামলা দায়ের করেন, যাহার মামলা নং ১১৩৬/২৩ তারিখ ০২/১১/২৩। এ বিষয়ে মামলার ১নং আসামী মোহাম্মদ আলীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান আমি সালিশে ছিলাম আমরা মিমাংসার জন্য সালিশে বসছিলাম, কিন্তু যে ঘটনা ঘটেছে তা সত্যি হতাশা জনক এ বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না।