শিরোনাম :
নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খোকন, সাধারণ সম্পাদক মনজুর এলাহী নির্বাচিত শিশুশ্রম: অর্থ উপার্জনের এক নিষ্ঠুর চক্রে বন্দী শৈশব জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো এপেক্স ক্লাব অব পল্লবীর পালাবদল নরসিংদীতে চাঁদার জন্য প্রবাসীর বাবাকে তুলে নিয়ে মারধর।। পুলিশ কর্তৃক উদ্ধার। নরসিংদীতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার নাকি অবহেলিত মাধবদীর বাসিন্দারা সৌদির রিয়াদে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনকে সংবর্ধনা নরসিংদী ডায়াবেটিক সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন বি-বাড়ীয়া বাসীর আস্থার প্রতিক ওসি মোজাফফর রায়পুরায় মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে নরসিংদীতে স্মারকলিপি প্রদান
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৯ অপরাহ্ন

নরসিংদীতে আ.লীগ নেতা কামরুজ্জামানের ফাঁসির দাবীতি বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

আশিকুর রহমান / ৪৮৩ বার
আপডেট : শুক্রবার, ১১ আগস্ট, ২০২৩

বহুল আলোচিত নরসিংদী পৌরসভার ওয়ার্ড কমিশনার মানিক হত্যা মামলার প্রধান আসামি নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র কামরুজ্জামান কামরুলের ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন নিহত পরিবারের স্বজন ও জেলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতারা।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকালে নরসিংদী সদর উপজেলা মোড় ও আদালত চত্বরে এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র কামরুজ্জামান মানিক হত্যা মামলায় আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিলো। এমন সংবাদে নিহতের স্বজন ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা সকালে উপজেলা মোড়ে জড়ো হতে থাকেন। এসময় বিক্ষোভকারী ঝাড়ু হাতে নিয়ে মিছিলসহ আদালতের দিকে যেতে চাইলে জেলা প্রশাসনের বাসভবনের সামনে মিছিলকারীদের ব্যারিকেড দেয় পুলিশ। মিছিল নিয়ে বেশি দূর এগুতে না পেরে সেখানেই বিক্ষোভ ও মানিক হত্যার ফাঁসি চেয়ে মিছিল করতে থাকেন তারা। তখন শহরের প্রধান সড়ক ডিসি রোডে অত্যন্ত দেড় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সেখানেই সাবেক মেয়র ও জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুলের কুশপুত্তালিকা দাহ করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালের ১জানুয়ারী নরসিংদী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কমিশনার মানিক মিয়াকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে আসামীরা। পরে তৎকালীন পৌর চেয়ারম্যান প্রয়াত লোকমান হোসেন, তার ভাই সাবেক মেয়র ও বর্তমানে জেলা আ’লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামানসহ ১০জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই আমির হোসেন আমু। বাদী পক্ষের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে আসামী পক্ষ আদালতে আসতে বাধা স্বাক্ষীদের ও নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছিলো।
এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোন্তাজ উদ্দিন ভূঁইয়া, আমিরুল হক ভূঁইয়া, শ্রমিক লীগের আহব্বায়ক রিপন সরকার, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ালিউর রহমান আজিম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এসএম কাইয়ুম, নরসিংদী সরকারী কলেজের সাবেক ভিপি মিয়া মোঃ মঞ্জুর, জেলা তাঁতী লীগের আহবায়ক কায়কোবাদ হোসেন কানু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জোবায়ের আহমেদ জুয়েল, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমন, সাধারণ সম্পাদক শাহজালালসহ জেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের শতশত নেতৃবৃন্দরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কামরুজ্জামান কামরুল আদালতে উপস্থিত না হয়ে তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে সময় প্রার্থনা করেছেন বলে জানা যায়।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ