নরসিংদী সদর উপজেলার শেখেরচরে বাসায় ঢুকে চাঞ্চল্যকর সুমনা আক্তার তিথি হত্যা ও তার মা আসমা আক্তার গুরুতর আহত হওয়ার রহস্য উদঘাটন করে, হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নরসিংদী।
এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়ি, রশি ও লুণ্ঠন করা ১০ লক্ষ ১ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারী ) দুপুরে নরসিংদী পিবিআই সম্মেলন কক্ষে উপরোক্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেন পিবিআই নরসিংদীর পুলিশ সুপার এনায়েত হোসেন মান্নান।
এর আগে গত কয়েকদিনে নরসিংদীসহ দেশের ৫ জেলায় অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-ফরিদপুর জেলার পাঁচই এলাকার বাসিন্দা ও শেখেরচর এলাকার ভাড়াটিয়া মো: রমজান শেখ ওরফে লিমন (২২), তার ভাই হাসিবুর রহমান শান্ত (৩১), নেত্রকোনার গণ্ডা এলাকার বাসিন্দা ও শেখেরচর এলাকার ভাড়াটিয়া মো: কাউছার মিয়া (২০) ও নাটোর জেলার চর গোয়াশ এলাকার বাসিন্দা ও শেখেরচর এলাকার ভাড়াটিয়া মো: ইমন আলী (২১)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো: এনায়েত হোসেন মান্নান বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিদেশ হতে পাঠানো বাসায় রাখা মোটা অংকের টাকা লুট করতে শেখেরচর এলাকার মোফাজ্জল হোসেনের বাড়িতে ঢুকে গ্রেপ্তারকৃতরা। এসময় ৭ বছরের প্রতিবন্ধী শিশু সন্তানকে বাথরুমে আটক রাখে তারা। পরে বাসায় থাকা টাকা লুট করার সময় বাধা দিলে গৃহবধূ আসমা বেগম ও মেয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সুমনা আক্তার তিথিকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে তিথীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। গুরুতর আহত মা আসমা বেগম ঢাকার একটি হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনার পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নরসিংদী, ফরিদপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, ঢাকা ও বরিশালে অভিযান চালিয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও লুট হওয়া ১০ লাখ ১ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে দেয়া জবানবন্দীতে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে গৃহকর্তা মোফাজ্জল হোসেন ঘরে ঢুকে স্ত্রী ও সন্তানকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।