ড. ইউনুস স্যার। অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। দয়া করে অবিলম্বে আপনার এ্যাকশন শুরু করুন। আপনার সহজ ও সরলতার সুযোগ নিচ্ছে পতিত স্বৈরাচার পালাতক শেখ হাসিনার সহযোগী দোসররা। তারা একের পর দেশকে অস্থিতিশীল ও আপনার অন্তবর্তীকালীন সরকারকে ব্যার্থ করতে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এতে উদ্বিগ্ন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ সহ দেশের আপামর জনগন। আপনাকে যদি ব্যার্থ করা যায় তা হলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌম হুমকির মধ্যে পরবে। আর এই অপচেষ্টাই করছে ভারতীয় এদেশীয় এজেন্ট ও আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা। তাই আপনাকে কাল বিলম্ব না করে এ্যাকশনে যেতে হবে।
দেশে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী লীগের এজেন্টরা দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসনালয় বাংলাদেশ সচিবালয়ে আগুন লাগানোর দুঃসাহস দেখিয়েছে। হাসিনা সরকারের দুর্নীতির প্রমান ধংস করতেই এমনটি করা হয়েছে বলে মনে করেন অভিজ্ঞ মহল। এতএব আর বসে থাকার মানে হচ্ছে, নিজেদের ধংস নিজেদের ডেকে আনা।
ড. ইউনস, আপনাকে মনে রাখতে হবে ৩৬ জুলাইর ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে জাতী প্রতিটা রাজনৈতিক দল ও সকল পেশার সুশীল সমাজ রাষ্ট্রের বিভিন্ন অংগের সংস্কার ও একটা স্বচ্ছ এবং গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য দায়িত্ব দিয়েছিল। আর এই কাজগুলো সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করাই আপনার অগ্রাধিকার কাজ। এ ব্যাপারে আপনি জাতীর কাছে দায়বদ্ধ। এ থেকে সরে আসার কোন সুযোগ নেই। মনে রাখবেন, আপনার ব্যার্থতা মানে জাতীর ব্যার্থতা। এ ব্যার্থতার বড় অংশের দায় বহন করতে হবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কে। করন ৫ আগষ্টের আন্দোলন সফল হওয়ার পর দেশের মানুষ মনে করছে বিএনপি দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। বাস্তবতা কিন্তু তা নয়। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দলকে মাইনাস করার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। হয়ত আপনাকে অন্ধকারে রেখে মুষ্টিমেয় কিছু লোক ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তথাকথিত কিংস পার্টি গঠনের অপতৎপরতা চলছে। তার পরও অন্তবর্তীকালীন সরকারের সকল ব্যার্থতার দায় বিএনপির উপর বর্তাচ্ছে। এদিকে জামাতের কিছু হঠকারী সিদ্ধান্ত এবং উচ্চবিলাসের কারনেও পতিত স্বৈরাচারের দোসররা দেশ এবং সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরতে হচ্ছে।
উদ্বোধ এমন পরিস্থিতিতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারেকে কঠোর হতে হবে। সরাদেশে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের সহ শেখ হাসিনার দালালের গ্রেফতার করতে হবে। সাথে সাথে খেয়াল রাখতে হবে, তারা যেন আবার আইনের ফাঁক দিয়ে বেড়িয়ে না যায়। কারন সকল প্রকার প্রশাসন যন্ত্র এখনো হাসিনার দোসর দিয়ে ভরপুর। তাদের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগের লুটেরারা জামিন নিয়ে বেড়িয়ে যাচ্ছে। সাথে সাথে বিএনপি, জামাতের লোকদের উপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হবে। কোন অন্যায় কাজ করে তারাও যেন পার পেয়ে না যায়।
অতএব ড. ইউনুস স্যার, আপনি আপনার এ্যাকশন শুরু করুন নিরদ্বিধায়। মনে রাখবেন হাজার হাজার ছাত্রজনতার আত্মত্যাগ এবং সকল রাজনৈতিক দলের সমর্থন নিয়েই আপনি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন। আপনাকে ব্যার্থ হওয়া চলবেনা। যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে, একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করাই আপনার প্রধান লক্ষ্য। জনগন মনে করে এতে আপনি নিশ্চয়ই সফল হবেন।
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।।