সাম্প্রতিক সময়ে মাধবদীর সিআইপি (কমার্শিয়ালি ইম্পরট্যান্ট পারসন) নিজামুদ্দিন লিটনের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। বিশেষ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে তাঁর অর্থনৈতিক শক্তি ও মাস্তান বাহিনী ব্যবহারের বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। আদালতে দাখিলকৃত মামলায় অভিযোগ রয়েছে যে, লিটন ছাত্র আন্দোলনকে দমন করার জন্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ সরবরাহ করেছেন এবং প্রভাবশালী স্থানীয় মাস্তানদের দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন।
অর্থ ও মাস্তান বাহিনীর ব্যবহার:
প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ছাত্রদের আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে লিটন স্থানীয় মাস্তানদের নিযুক্ত করেছেন এবং ছাত্রদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালিত হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, এই আন্দোলন বিরোধী তৎপরতা কেবল রাজনৈতিক স্বার্থে নয়, বরং বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া ছাত্রদের ওপর সরাসরি আক্রমণ হিসেবে করা হয়েছে। এভাবে লিটন নিজেকে ক্ষমতায় আরো সুদৃঢ় করার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। তিনি ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচারিনী শেখ হাসিনার সাথে একাধিকবার বিদেশ সফর করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে অর্থ দিয়েছেন যাহা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে । এবং দীর্ঘ ১৬ বছর যাবত আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে সিআইপি হয়েছে
মানি লন্ডারিং ও শেখ হাসিনার তহবিলে অর্থদান :
আরও অভিযোগ উঠেছে যে, লিটন মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ সরকার দলীয় তহবিলে দান করেছেন। বিশেষ করে, শেখ হাসিনার তহবিলে অর্থ প্রদান করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লিটনের এই ধরনের আর্থিক কর্মকাণ্ড শুধু রাজনৈতিক সুবিধা অর্জনের জন্যই নয়, বরং তাঁর অসাধু ব্যবসায়িক কার্যকলাপকে আড়াল করার জন্যও হতে পারে। তার বিরুদ্ধে নরসিংদীর সময় পত্রিকায় মানিলন্ডিং এর রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে এবং দুদক অনুসন্ধান করছে ।
আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতা ও রাজনৈতিক অনিয়ম :
লিটনের বিরুদ্ধে আরও একটি গুরুতর অভিযোগ হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সদস্যদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা এবং সেই সম্পর্ককে ব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়মমূলক কাজ করা। তিনি রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে অবৈধভাবে তার ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ করেছেন এবং এলাকার স্থানীয় প্রশাসনের ওপর প্রভাব খাটিয়েছেন। স্থানীয় ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের অভিযোগ, লিটন তার অর্থ ও রাজনৈতিক প্রভাবের মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনীতি ও সমাজে বৈষম্য তৈরি করেছেন।
মাধবদীর সিআইপি লিটনের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো থেকে বোঝা যায় যে, তিনি তার আর্থিক ও রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে আন্দোলন দমন, মানি লন্ডারিং এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্কের মাধ্যমে অনিয়মমূলক কাজ করেছেন। এসব কর্মকাণ্ড শুধু তাঁর নিজস্ব ক্ষমতা ও অর্থবিত্ত বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে নয়, বরং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মতো ন্যায্য উদ্যোগকে ব্যাহত করারও একটি অংশ। নিজামুদ্দিন লিটন সিআইপির বিরুদ্ধে আদালতে একটি হত্যা মামলা হয় । রহস্যজনক কারণে পরবর্তীতে মামলাটি তুলে ফেলেন গুঞ্জন উঠেছে একটি ব্যবসায়ী সংগঠনে ২০ লক্ষ টাকা দান করেছে। এবং প্রভাবশালী কিছু নেতাদেরকে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা দিয়েছে। দলীয় দ্বন্দ্বে ৬ জন আওয়ামী লীগের নেতা খুন হয়েছে এ হত্যাকান্ডেও তার হাত রয়েছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। নিজামুদ্দিন লিটন তার ভাই নাজিম উদ্দিন রিপন ছিলেন আনোয়ার কমিশনার অর্থাৎ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের খাস লোক। আনোয়ার – মোশারফ দ্বন্দ্বে মাধবদীতে ৬ জন আওয়ামী লীগের নেতা খুন হয়েছে পাশাপাশি তিনজন ছাত্র খুন হয়েছে
এ ব্যাপারে নিজামুদ্দিন লিটনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আর বাড়িতে এবং কারখানায় গেলে দায়িত্বপ্রাপ্তরা জানান স্যার বাড়িতে নেই এবং কারখানায় আসেনা ।
বিস্তারিত চোখ রাখুন আগামী পর্বে… কিস্তি (১)