চেতনা রিপোর্টঃ জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়েছে এপেক্স ক্লাবস অব বাংলাদেশের ৬৪তম জন্মদিন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকার উপ-উপাচার্য ডক্টর এএসএম মেশকাত উদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন এপেক্স বাংলাদেশের এনওয়াইসিডি সভাপতি এপেক্সিয়ান এবিএম আজরাফ টিপু। গত শুক্রবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত এপেক্সিয়ান এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই এপেক্স ক্লাবস অব বাংলাদেশের দীর্ঘ ৬৪ বছরের পথচলা, অর্জন এবং সেবামূলক কার্যক্রমের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। স্বাগত বক্তব্যে এপেক্স বাংলাদেশের এনওয়াইসিডি সভাপতি এপেক্সিয়ান এবিএম আজরাফ টিপু এপেক্সের মূলমন্ত্র ‘সেবার মাধ্যমে বন্ধুত্ব’ তুলে ধরে বলেন, “এপেক্স ক্লাবস অব বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ও মানব সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ৬৪ বছরের এই পথচলায় আমরা অসংখ্য মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছি ও ভবিষ্যতেও আমাদের এই প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট এপেক্সিয়ান এম সায়েম টিপু। তিনি তার বক্তব্যে এপেক্স ক্লাবস অব বাংলাদেশের সেবামূলক কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এপেক্সিয়ানদের আরও সক্রিয়ভাবে দেশের উন্নয়নে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান। নতুন প্রজন্মের এপেক্সিয়ানদের দিকনির্দেশনাও প্রদান করেন তিনি। এছাড়া, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট এপেক্সিয়ান মাকসুদুর রহমান, আইপিএনপি শামসুন্নাহার আজিজ লীনা, এলজিপিএনপি এপেক্সিয়ান আসলাম হোসেন, এপেক্সিয়ান রাকিবুল হাসান, এপেক্সিয়ান অভিজিৎ দাস, এপেক্সিয়ান মানিক প্রমুখ।
এই বিশেষ দিনে কিংবদন্তি ক্রিকেটার কাজী হাবিবুল বাসার সুমন, অভিনেত্রী ডলি জহুর ও দেশের প্রখ্যাত কালজয়ী গীতিকার ও সুরকার মিল্টন খন্দকারের উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। এই বর্ণাঢ্য আয়োজন এপেক্সিয়ানদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে ও এপেক্সের লক্ষ্য অর্জনে তাদের অঙ্গীকারকে আরও সুদৃঢ় করেছে।