শিরোনাম :
প্রতারণার নতুন কৌশল কোটি টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা স্বামী-স্ত্রী নরসিংদীতে আওয়ামী ডেভিলদের বাঁচাতে মরিয়া বিএনপি নেতারা নরসিংদীতে নকশিসের ইফতার ও দোয়া মাহফিল নরসিংদীতে পৃথক ঘটনায় গর্ভবতী মহিলাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে চেম্বার অব কমার্সের মতবিনিময় আড়াইহাজারের ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী ডেভিল লাক মিয়া গ্রেফতার এপেক্স ক্লাব অব উত্তরার ইফতার মাহফিল সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করলেন মা “নরসিংদীতে আন্তঃনগর ট্রেন সমূহের যাত্রাবিরতি এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক আসন বরাদ্দের ব্যবস্থা জন্য স্বারকলিপি প্রদান” চুয়াওরের অলৌকিক শিশু” বইয়ের পাঠ পর্যালোচনা
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪২ অপরাহ্ন

প্রতারণার নতুন কৌশল কোটি টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা স্বামী-স্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার / ৪৬ বার
আপডেট : বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫

নরসিংদী সদর উপজেলার সরকারী কর্মকর্তা পরিচয়ে গভীর নলকূপ (ছামা) প্রদানের প্রলোভনে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগ ও ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে জানাযায়, সদর উপজেলার বাগহাটা গ্রামের তোজাম্মেল, তার ছেলে শাহীন ও ছেলের বউ লিপি বেগম সংঘবদ্ধ হয়ে পরিকল্পিত প্রতারণায় সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় কোটি টাকা। টাকা হাতিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন স্বামী-স্ত্রী। ভুক্তভোগীরা বাড়ী এসে ভীড় করেও কোন সুরাহা পাচ্ছেন না।
লিপি বেগম নিজেকে উপজেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা পরিচয়ে নরসিংদী সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সরকারী গভীর নলকূপ ( ছামা) প্রদানের কথা বলে, লোকজনের কাছ থেকে ষোল হাজার পাঁচশত টাকা করে ছয়শত পরিবারের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা সংগ্রহ করে। ইতিমধ্যে সে বিভিন্ন এলাকায় আট দশটি ছামা প্রদানও করেছেন। সেটা দেখে তার স্বামী ও শ্বশুড়ের মাধ্যমে লোকজন টাকা প্রদান করেন। শাহীন ও তোজাম্মেল লোকজনকে আশ্বাস দিয়ে বলতো, লিপি উপজেলা প্রশাসনে চাকরী করে, সে ছামা প্রদানের দায়িত্ব পেয়েছে। সরকারী ফি’র টাকা জমা দিলেই ছামা পাওয়া যাবে। লোকজন টাকা প্রদানের পর লিপি আজ না কাল, কাল না পড়শু করে তালবাহানা করতে থাকে। পরে খোজ খবর নিয়ে জানাযায়, লিপি উপজেলা প্রশাসনের কোন লোক না। সে প্রতারণা করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এখন তার বাড়িতে গেলে পাওয়া যায়না। শ্বশুর, স্বামীকে নিয়ে আত্মগোপনে থাকে।
অন্য কোন এলাকায় গিয়ে হয়তো নতুন করে প্রতারণার ফন্দি করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, লিপি বেগম ও তার স্বামী শাহীন সাহেপ্রতাব এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সামান্য টাকা পরিশোধ করে, ছামার যাবতীয় সরঞ্জাম বাকীতে কিনে মানুষের বাড়িতে ছামা স্থাপন করতো। উপজেলা থেকে বিলটা উত্তোলন করেই বাকি টাকা পরিশোধ করে দিবে বলে প্রায় চল্লিশ লাখ টাকার সরঞ্জাম নিয়েছেন। বর্তমানে সেই ব্যবসায়ীর ব্যবসার অবস্থা খুবই নাজুক।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ