নরসিংদীর শিবপুরে আইয়ুবপুর ইউনিয়নে আওয়ামী ডেভিলদের বাঁচাতে মরিয়া বিএনপির নেতাকর্মীরা। আইয়ুবপুর ইউনিয়ন প্রবাসী কল্যান সংস্থার নামে আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসনে চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে শিবপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে। তার সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন তারই ভাগীনা যুবদল নেতা ওমর ও মাসুদ নামে আরেক বিএনপি নেতা। স্থানীয় এলাকাবাসী ও বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা জানান, গত সোমবার (১০ মার্চ) আইয়ুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বাজারে আইয়ুবপুর ইউনিয়ন প্রবাসী কল্যান সংস্থার ব্যানারে ইফতার মাহফিলের আয়োজনে সংগঠিত হয় আওয়ামী দোসররা। গোপন সংবাদে সেই ইফতার মাহফিলে সাদা পোশাকে অভিযানে আসেন শিবপুর থানা পুলিশের একটি দল। এসময় ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতা বুলবুলকে আটক করে পুলিশ। আটককৃত বুলবুলকে নিয়ে আসতে চাইলে, বাধা প্রদান করেন আলমগীর, ওমর ও মাসুদ। তাদের উসকানিতে উপস্থিত নেতাকর্মীরা উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, একপ্রকার ছিনিয়ে নিয়ে যায় বুলবুলকে। অবস্থা বেগতিক দেখে ওসির সাথে কথা বলে, চলে যায় পুলিশের দলটি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে শিবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আফজাল হোসেন জানান, গোপন সংবাদে সাদা পোশাকে আমাদের একটি দল সেখানে গিয়ে বুলবুল মেম্বারকে পেয়ে যায়, তাকে থানায় নিয়ে আসতে চাইলে, উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বিএনপি নেতৃবৃন্দ আমাকে জানান,এটি একটি অরাজনৈতিক সংগঠনের ইফতার মাহফিল, এখান থেকে কাউকে আটক করা যাবেনা। তানাহলে উত্তেজিত নেতাকর্মীরা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। তাই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমি আমার টিমকে ফিরে আসতে বলি।

অপরদিকে এই ঘটনাায় স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ত্যাগী নেতাকর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, আওয়ামী ডেভিলদের বাঁচাতে কতিপয় নেতাদের আসল চেহারা বেরিয়ে আসছে। বিগত ১৭ বছর এই আওয়ামী দোসরদের কারনে এলাকা ছাড়া থাকতে হয়েছে। মসজিদে নামাজরত অবস্থায় আমাদের গ্রেফতার করে নিয়ে যেতো। আর আজকে ইফতার পার্টি থেকে ডেভিলদের আটক করলে আমাদের নেতাদের আঁতে লাগে। বিষয়টি দু:খজনক। আইয়ুবপুর ইউনিয়ন প্রবাসী কল্যান সংস্থার ব্যানারে আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসন করার পায়তারা চলছে।

এবিষয়ে শিবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হারিছ রিকাবদার প্রতিনিধিকে মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই।এই মাত্র আপনার কাছ থেকে শুনলাম। আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসন করতে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংশ্লিষ্টতা অবশ্যই নিন্দনীয় এবং ঘৃণিত। আমি যেহেতু আপনার কাছ থেকে শুনলাম, আমি খোঁজ নিবো। প্রমাণ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।