শিরোনাম :
প্রতারণার নতুন কৌশল কোটি টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা স্বামী-স্ত্রী নরসিংদীতে আওয়ামী ডেভিলদের বাঁচাতে মরিয়া বিএনপি নেতারা নরসিংদীতে নকশিসের ইফতার ও দোয়া মাহফিল নরসিংদীতে পৃথক ঘটনায় গর্ভবতী মহিলাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে চেম্বার অব কমার্সের মতবিনিময় আড়াইহাজারের ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী ডেভিল লাক মিয়া গ্রেফতার এপেক্স ক্লাব অব উত্তরার ইফতার মাহফিল সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করলেন মা “নরসিংদীতে আন্তঃনগর ট্রেন সমূহের যাত্রাবিরতি এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক আসন বরাদ্দের ব্যবস্থা জন্য স্বারকলিপি প্রদান” চুয়াওরের অলৌকিক শিশু” বইয়ের পাঠ পর্যালোচনা
বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৬ অপরাহ্ন

নরসিংদীতে মাদক কারবারি মনিরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

আশিকুর রহমান / ৬৬৭ বার
আপডেট : শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩

নরসিংদী পৌর শহরের কাউরিয়া পাড়া মহল্লার মনির ওরফে সিলট্যা মনির (৪২) এর অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী। মাদক বিক্রি, মাদক সেবন, চাঁদাবাজি, অস্ত্র সহ কি অভিযোগ নেই বিএনপির সাবেক ক্যাডার ও বেডির পুত্র কামালের সহযোগি মনিরের বিরুদ্ধে। সিলেটের বাসিন্দা মৃত এখলাছ মিয়ার পুত্র মনির। বর্তমানে সে নরসিংদী পৌর শহরের কাউরিয়া পাড়া এলাকার হাজী করিম মিয়ার ছেলে শামসুল মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া। চার দলীয় ঐক্য জোটের আমলে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডার এবং নরসিংদী পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী কামাল ওরফে বেডির পুত্র কামালের ডান হাত হিসেবে পরিচিত ছিলো। নানা অপকর্মের কারণে নরসিংদী ও ডিএমপি থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হওয়ায় বেশ কয়েক বছর ধরে এলাকা ছেড়ে গা ডাকা দেন তিনি। আওয়ামী লীগ সরকার বর্তমান ক্ষমতায় আসার পরে কতিপয় সুবিধাভোগী নেতার প্রশ্রয়ে আবার মাথা চাঁড়া দিয়ে ওঠেন। এলাকায় তার নিজস্ব বাহিনী তৈরি করে শুরু করেন মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি। এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আওয়ামী লীগের কর্মী থেকে শুরু করে নিরীহ লোকদের ওপর সিমাহীন অত্যাচার। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার ছত্র ছায়ায় থেকে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। তার বড়ভাই ফখরুল ইসলাম ওরফে ফইক্ক আলোচিত জয়নাল হত্যা মামলার অন্যতম আসামী। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে ডিএমপির উত্তরা থানায় অস্ত্রসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মনির ওরফে সিলট্যা মনির অস্ত্র, ডাকাতি, মারামারি, চাঁদাবাজি ও মাদক মামলার আসামি। পুলিশের ভয়ে দীর্ঘদিন এলাকার বাইরে ছিলো। সম্প্রতি স্থানীয় একনেতার হাত ধরে আবার এলাকায় আসেন। এলাকায় এসে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। তার রয়েছে সন্ত্রাসী বাহিনী। কথায় কথায় সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার করে। তার ও তার বাহিনীর ভয়ে এলাকার মানুষ মুখ খুলতে সাহস পায় না। কেনো কিছু হলেই মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করাই হলো তার বড় কাজ। এককথায় এলাকার সাধারণ মানুষ তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় অটোরিকশা চালক বলেন, কিছুদিন আগে বিনাকারণে আমাকে অটো চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাকে তার লোকজন দিয়ে ডেকে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে এবং মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে আমাকে জিম্মি করে ত্রিশ হাজার টাকা আদায় করে। তার ভয়ে এলাকার মানুষ মুখ খুলতে সাহস পায় না। এব্যাপারে থানায় কোনো অভিযোগ বা মামলা করেছেন কি না? জানতে চাইলে তিনি প্রতিনিধিকে বলেন, আমরা গরীব সাধারণ মানুষ। থানায় মামলা করেছি শুনলে প্রাণে মেরে ফেলবো এবং পরিবারের স্বজনদের ওপর নির্যাতন করবে। সে ভয়ে থানায় মামলা-মোকাদ্দমা করিনি।
এবিষয়ে সত্যতা জানতে মনিরের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় এবং বেশ কয়েকবার তার সাথে তার এলাকায় গিয়ে যোগাযোগ করেও ব্যর্থ হয়।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ