শিরোনাম :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০৯ পূর্বাহ্ন

সবুজ পাহাড় কলেজে সরকারী বিধি অমান্য করে অধ্যক্ষ পদে বহাল গিয়াসউদ্দিন

স্টাফ রিপোর্টার / ৭০ বার
আপডেট : বুধবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

নরসিংদীর শিবপুরের সবুজ পাহাড় কলেজে সরকারী বিধি অমান্য করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে এখনও স্বপদে বহাল আছেন অধ্যক্ষ গিয়াসউদ্দিন। ১৪ বছর যাবৎ অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকা এই গিয়াসউদ্দিন সরকারী বিধি মোতাবেক ৬০ বছর পুর্ণ হলে অবসরে চলে যাওয়ার নিয়ম থাকলেও অদৃশ্য ক্ষমতাবলে তিনি সেটা মানছেন না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পৃথক পৃথক পরিপত্রে জ্যেষ্ঠতম শিক্ষককে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনের এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করা হলেও সেটাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে স্বপদে বহাল আছেন তিনি। কলেজের অন্যান্য শিক্ষকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির মাধ্যমে বিধি বর্হিভুতভাবে দায়িত্ব পালনের সত্যতা পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশও কোন কাজে আসেনি।
জানাযায়, সবুজ পাহাড় কলেজের অধ্যক্ষ গিয়াসউদ্দিন (ইনডেক্স নং ৪১৫২৪০) এর বয়স গত ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ইং তারিখে ৬০ বছর পূর্ণ হয়। বিধি মোতাবেক তিনি কলেজের জ্যৈষ্ঠতম সহকারী অধ্যাপককে অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করে অবসরে চলে যাওয়ার কথা। কিন্ত তিনি সেটা না করে,নিয়ম বর্হিভুত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক চাকুরীর মেয়াদ বৃদ্ধির কাগজ দেখিয়ে স্বপদে বহাল রয়েছেন। এ ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে কলেজের অন্যান্য শিক্ষকগণ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক এবং সহকারী পচিালক (কলেজ) কে তদন্ত কর্মকর্তা মনোয়ন করে, তদন্তপুর্বক সুস্পষ্ট মতামতসহ ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন। গত ১২ নভেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তপুর্বক মতামত প্রদান করেন, সবুজ পাহাড় কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক স্তর এমপিওভূক্ত। ডিগ্রি স্তর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ন্তভূক্তি থাকলেও এমপিওভূক্ত নয়। তাই বিধি বর্হিভূতভাবে অধ্যক্ষ পদে বহাল এবং ১১.০১.২০২৪ এর পরিপত্র অনুযায়ী ৬০ বছর বয়সের পর কোন প্রতিষ্ঠান প্রধানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের সুযোগ নেই। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া প্রমাণিত হয়েছে, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। নিয়ম বর্হিভূত ও পরিপত্র অমান্য করে কিভাবে এখনো বহাল তবিয়তে আছেন অধ্যক্ষ গিয়াসউদ্দিন। এ বিষয়ে জানতে, অধ্যক্ষ গিয়াসউদ্দিনের ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দিলে, উনার সহকর্মীকে দিয়ে রিসিভ করান। সহকর্মী জানান,উনি বাহিরে আছেন। পরবর্তীতে আরো একাধিকবার কল দিলেও, সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ