টাকার বিনিময়ে ভুয়া কাগজপত্রে অন্যের জমিও খারিজ করা করা যায় নরসিংদী সদর সহকারী কমিশনার ( ভূমি ) কার্যালয়ে। আবার সেই খারিজের বিনিময়ে জমি রেজিস্ট্রি করে বিক্রি হয়ে যায়। ভোগান্তির শিকার হন জমির প্রকৃত মালিক ও সহজ সরল প্রকৃতির সাধারণ মানুষ। যারা শরীরের ঘাম ঝরিয়ে সারাজীবনের সঞ্চার করা টাকা দিয়ে সেই জমি কিনে প্রতারিত হচ্ছেন।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, এসব অপকর্মে জড়িত কিছু অসাধু এসিল্যান্ড থেকে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের পিয়ন পর্যন্ত। এমন ঘটনা ঘটেছে নরসিংদী সদর উপজেলার করিমপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে। জানাযায়, করিমপুর ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা ইব্রাহিম খাঁন দলিল লিখক জহিরুল ইসলামের যোগসাজশে ৩৩ হাজার টাকার বিনিময়ে করিমপুর মৌজার আরএস ২৪৬০ খতিয়ানের ১১৪৫০ নং দাগে সৃজন করা ভুয়া দলিলের মাধ্যমে অন্যের ২ শতাংশ জমি খারিজ করে দেন রোশনারা বেগম নামে এক মহিলাকে। এই খারিজ ও সৃজন করা ভুয়া দলিল দিয়ে প্রতারক চক্র জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তির নিকট বিক্রি করেন। ভুক্তভোগী জাকির হোসেন এখন জমি অথবা টাকা ফিরে পেতে দ্বারেদ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা ইব্রাহিম খাঁন টাকার বিনিময়ে খাস জমি ব্যক্তি মালিকানা দেখিয়ে খাজনার রশিদ প্রদানসহ বিভিন্ন অপকর্মের বিস্তারীত আসছে আগামীতে।
ভূমি অফিসের বিভিন্ন অপকর্মের বিষয়ে জানতে চাইলে, নরসিংদী সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিনথিয়া হোসেন উত্তেজিত হয়ে বলেন, আমি সাংবাদিকদের সাথে অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়া কথা বলিনা। এ বিষয়ে কথা বলতে হলে আমার অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে আসবেন।