বিরাজনীতিকরণের সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন অনেক নেতা। দেশের রাজনীতির ক্রান্তিলগ্নে দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ ছিলেন যে কয়জন নেতা, তাদেরই একজন নরসিংদী জেলা যুবদলের সভাপতি মহসিন হোসাইন বিদ্যুৎ ।
তিন যুগের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। তার মধ্যে অর্ধ যুগেরও বেশি কারাগারেই বন্দী জীবন। মামলা,গ্রেফতার ও কারাবন্দী এই তিনটি শব্দ নামের পাশে পদবীর মতো জড়িয়ে পড়েছে। মাথার উপরে ঝুলছে, ঢাকার পল্টনে পুলিশ হত্যা ও নরসিংদীর কারাগার ভাঙ্গাসহ ৪৩ টি রাজনৈতিক মামলার হুলিয়া। শত বাধা -বিপত্তি ও নির্যাতনেও দলের আদর্শ থেকে বিচ্যুতি ঘটাতে পারেনি। রাজপথে লড়াই সংগ্রামে এখনো অগ্রনায়ক। দেশের প্রতিটি জেলায় অগণিত মহসিন হোসাইন বিদ্যুৎ আছেন,যারা জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারন করে, তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে নিজের জীবন বাজী রাখতেও পিছপা হবে না।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর বিগত দেড় যুগের মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে উজ্জীবিত অবস্থায় রয়েছে বিএনপি।
একের পর এক মামলা থেকে খালাস পেয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে; নেতাকর্মীরাও রাজনৈতিক মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসছেন। সব মিলিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে একটি চাঙ্গাভাব বিরাজ করছে।
নেতা কর্মীদের অভিযোগ—বিগত ১৬ বছর ধরে এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন অনেক নেতা। অনেকে আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে আপোষ করে ব্যবসা-বানিজ্যে নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। বিএনপির পরিচয় পর্যন্ত দেননি। ছাত্রদল, যুবদলের নেতাকর্মীরা মিথ্যা মামলা নিয়ে আদালত পাড়ায় ঘুরেছেন, খবর পর্যন্ত নেননি কেউ।
নির্যাতন সহ্য করেও দলের বিভিন্ন দিবস, সভা-সমাবেশও করেছেন নেতাকর্মীদের নিয়ে। এবার এই ধরনের নেতাদের নিয়ে স্বপ্ন বুনছেন নির্যাতিত নেতাকর্মীরা।
দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিগত ১৬ বছর দলের নেতাকর্মীরা হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। নেতাকর্মীদের আশা অতীত এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে, মহসিন হোসাইন বিদ্যুৎদের মুল্যায়ন করতে হবে। তৃনমুল নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা, নির্যাতিত ও ত্যাগী হিসেবে প্রমানিত দেশের প্রতিটি জেলায় মহসিন হোসাইন বিদ্যুৎদের খুঁজে বের করে মুল্যায়িত করতে হবে। বিএনপিতে মুল্যায়িত হবে কি বিদ্যুৎরা?