গত ৮ ই ফেব্রুয়ারী শনিবার কবি মামুন আশরাফী একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে নরসিংদী আসেন।
পথিমধ্যে সাহেপ্রতাপের কাছে একদল দুর্বৃত্ত হঠাৎ তার গতিরোধ করে এবং তিনি কেন এইসব কবিতা আর গান লিখছেন এবং তার কি উদ্দেশ্য তা জানতে চায়। তারা কবিকে উদ্দেশ্য করে বলে আপনি কি এসব লিখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চান? আপনি কিন্তু অনেক বাড়াবাড়ি করে ফেলেছেন। যাদের বিরুদ্ধে আপনি লিখছেন আপনি তাদের কিছুই করতে পারবেন না। আমরা আপনাকে লেখার কোন সুযোগ দেবো না। এই বলে তারা তার উপর অতর্কিত হামলা করে তাকে আহত করে এবং বলে যে ভবিষ্যতে কবিতা লিখলে আপনাকে আমরা হত্যা করতে বাধ্য হবো। হামলায় তিনি সামান্য আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান এবং প্রাণভয়ে আতংকিত হয়ে পড়েন।
তিনি বলেন, আমি আমার কবিতায় ও লেখায় সত্য, ন্যায় ও প্রগতিশীলতার কথা বলি। একটি আধুনিক রাস্ট্রের কথা বলি। প্রতিক্রিয়াশীলরা আমার উপর হামলা করায় আমি আমার জীবন নিয়ে শংকিত। এ হামলা শুধু আমার উপর নয় বাংলাদেশের সকল প্রগতিশীল লেখকের উপর হামলা। অতীতেও অনেক লেখককে সত্য, ন্যায় ও প্রগতিশীলতার কথা বলায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু আমার উপর যতো আক্রমনই করা হোক না কেন, আমি এদেশের মানুষের বাক-স্বাধীনতা ও মুক্ত চিন্তা প্রতিষ্ঠায় অবিরাম লিখে যাবো। যতো ভয়ই দেখানো হোক না কেন, আমি আমার লেখা থেকে বিরত হবো না।
উল্লেখ্য যে ২০২২ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ “অসমাপ্ত চুম্বন” ও ২০২৪ সালে দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ “রত্নগর্ভে নপুংসক ভ্রূণ” প্রকাশিত হওয়ার পর গ্রন্থদুটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় কিন্তু একটি মহল ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে বিভিন্ন সময়ে বেনামে হুমকি দিলেও তিনি তা আমলে নেননি।
তিনি বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত ও প্রগতিশীল কবি, গীতিকার ও একজন কলাম লেখক। বাংলাদেশ ও ভারতে তার ইংরেজি অনূদিত কাব্যগ্রন্থ এবং অনেক সংগীত প্রকাশিত হয়েছে।