ড. ইউনুস সরকারের অন্তর্বতীকালীন সরকারের ৬ মাসের মধুচন্দ্রিমা প্রায় শেষের পথে। সময় হয়েছে হিসাব নিকাশ করার, এই ৬ মাসে দেশ, দেশের মানুষ কি পেলো বা আর কি পাওয়ার দরকার ছিল। পালাতক স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের দোসরদের বিরুদ্ধে কি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, বা আর কি করার দরকার ছিল। প্রশাসন যন্ত্র কি সঠিকভাবে কাজ করতে পরেছে না সবটাই ছিল লোক দেখানো আইওয়াশ। পুলিশ কি আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে না অতীত অপকর্মের জন্য ঘরে বসে দিন গুজরান করছে? এগুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ হওয়া দরকার।
নরসংদীর প্রেক্ষাপটে এ বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করলে হতাশা ছাড়া আর কিছুই পাওয়ার নাই। প্রথমেই শেখ হাসিনার দোসরদের নিয়ে বললে, বলতে হয় তারা চরম সুখে দিনাতিপাত করছে। ২/১ জন ছাড়া সবাই বুক ফুলিয়ে তারা তাদের পুরাতন অপকর্ম গুলো বীরদর্পে করে যাছে। পুলিশ আজও পর্যন্ত কোন সন্ত্রাসী ও খুনি আওয়ামী লীগারদের ধরতে পারছে না। মনে হয় ৩৬ জুলাইয়ের পূর্বে যেমন ভাবে পুলিশ আওয়ামী লীগ ভাই ভাই শ্লোগানে একসাথে চলছে, এখনো তারা একই ভাবে গলায় গলায় হাত জড়িয়ে চলছে। এতে অবশ্য পুলিশ সুপার সহ উর্ধতন কতৃপক্ষের কোন ভ্রক্ষেপ নেই। নরসিংদীর মানুষ দ্বিধান্বিত, নরসিংদীতে পুলিশ সুপার আছেন কিনা? যদি থাকতেন তা হলে, পাঁচদোনার, মেহেরপাড়ার হত্যাকান্ড হতো না। এই ৬ মাসে নরসিংদীতে ষ্ট্যান্ড দখল, এলাকায় আধিপত্য নিয়ে হামলা, মারামারি সহ আইন শৃঙ্খলারা কি পরিমান অবনতি হয়েছে তার হিসাব পুলিশের কাছে কি আছে? সবচেয়ে আতংকের বিষয় হল, রায়পুরার ইউএনও, এসিল্যান্ড মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে যেয়ে সন্ত্রাসীদের গুলির ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে আাসে। আর রায়পুরা থানা পুলিশ তা চেয়ে চেয়ে দেখে। কোথায় পৌছিয়েছে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার কি খোজ খবর নিয়েছেন? নিয়ে থাকলে কতজন বালুখেকো সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করছেন তা নরসিংদীর মানুষ জানতে চায়।
নরসিংদীর বিজ্ঞ মলের অভিযোগ, বিভিন্ন থানায় যে সকল ওসিকে পদায়ন করা হয়েছে, তারা বেশির ভাগই দেশের অন্য থানায় পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসর হিসেবে ছাত্র জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। ডিবি ওসির বিরুদ্ধে তো অভিযোগ গুরতর। গোপালগঞ্জের গোলাপি বেগমের খায়েশ পূর্ণ করে অবশেষে বিএনপির বড় হোমরাকে মেনেজ করে নরসিংদীতে পোষ্টং নিয়েছেন। শুনা যায় মাঝে তিনি সাসপেন্ড ও হয়েছিলেন। তবে সবকিছু মেনেজ করে ফেলেছেন দক্ষতার সাথে। এখন তিনি অবশ্য জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কার্যালয়ের নিলামকে নিয়ন্ত্রণ করে নিজের পছন্দের লোককে পাইয়ে দিতে ঠিকাদারি নিয়েছেন। এ কাজটা কতটা নীতি নৈতিকতার মধ্যে পারে তা বিবেচ্য বিষয়।
আসলে পুলিশের শরীরটা মেচ মেচ করে। কাজকর্মে মন বসে না। কারন স্বৈরাচারের সময় মিথ্যা মামলা দিয়ে জনগন এবং বিএনপির নেতা কর্মীদের দৌড়ের উপর রখে দু’হাতে টাকা কামানো যেতো। এখন সে পরিস্থিতি নেই। তাই নরসিংদীর পুলিশ বাহিনীর ভাইদের কাজকর্মে মন বসেনা।
বর্তমান সময়কালে নৈতিকতা সর্ব নিন্ম পর্যায়ে। ভেবে দেখার সময় হয়েছে এই পুলিশ বাহিনী বিলুপ্ত করে, সম্পূর্ণ নতুন আংগিকে নতুন পুলিশ বাহিনী গঠন করা যায় কিনা? (চলবে)