আমি তোমার উপাসনালয় পাহাড়া দিয়েও কখনো তোমার মন পাইনি।
আমি দেশ বিদেশে ঘুরি যখন, বিদেশিরা বলে, তুমি নাকি বলেছো, আমার পরিবার সং্খ্যায় বেশি বলে তুমি নাকি কষ্টে জীবন যাপন করেছো।
আমি অবাক হয়েছি, নিজের মাঝেই খোজার চেষ্টা করেছি, আমার দ্বারা জুলুম কিভাবে হয়েছে।
শুধু মনে পড়েছে,
ছোটবেলায় আমার মা-বাবার তোমাকে দাওয়াত খাওয়ানোর কথা।
আমার নিজের বাবাকে দেখেছি, পরম স্নেহে তোমাকে গান শেখাতে৷
আমার প্রিয় শিক্ষক যিনি, তিনি তো তোমার পরিবারের হয়েও আমাকে তার সবটুকু দিয়ে মেডিকেল সাইন্স শিখিয়েছিলেন। তার পরিবারে অবাধে যাওয়া আসা করেছি, তার পরিবার আমাকে নিজের ভেবেছে৷ আমিতো সেটাই মনে রেখেছি।
বর্ডারে যখন বাচ্চা মেয়ে দুটো ম*রেছিলো, শোকে পাথর হয়েছি৷ কে কোন পরিবারের তার ওপরে তো আমার শোক নির্ভর করেনি!
অন্য রাজার রাজ্যে শুনেছি আমার পরিবারের দূর্দশার কথা। কখনো তোমাকে এসে বলিনি, “আমার ভাইয়ের এমন অবস্থা কেন করছে তোমার ভাই?” সেই দেশের মানুষের কুকীর্তির জন্য আমার দেশের মানুষ কেন কাঠগড়ায় দাঁড়াবে, সেই আদর্শই মেনে চলেছি।
মেঘমল্লারের নির্ভীক টক-শো দেখে দাঁড়িয়ে গিয়ে হাত তালি দিয়েছি, আমার ভাই বলে কথা।
আমি কি তবুও তোমার মনে জায়গা করতে পেরেছি? বিদেশে এসে একই জায়াগায় লেখাপড়া করতে গিয়ে জেনেছি, তুমি নাকি বলেছো? আমার পরিবার সং্খ্যায় বেশি বলে তুমি নাকি সারাটা জীবন কষ্টে যাপন করেছো?
তোমার মতো অনেকের কাছেই আমি নিজের দেশের বোন হতে পারিনি।
আমি তোমার উপাসনালয় পাহাড়া দিয়েও কখনো তোমার মন পাইনি।
পাওয়ার আশাও করি না।