চেতনা ডেস্ক রিপোর্টঃ নরসিংদীতে মুক্তিযুদ্ধকালীন ২নং সেক্টরের সাব সেক্টর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত সিরাজুল ইসলাম ওরফে ন্যাভাল সিরাজের ৫২তম মৃত্যুবাষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে তার সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা–সিলেট মহাসড়ক সংলগ্ন সদর উপজেলার পাঁচদোনায়, তার সমাধিস্থলে দেশ মাতৃকার জন্য নিবেদিত বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, ন্যাভাল সিরাজের স্মরণে এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে শুভাকাঙ্ক্ষী, আত্মীয় স্বজন ও পরিবারের সদস্যবৃন্দ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী সদর উপজেলা, শিবপুর, আড়াইহাজার, রুপগন্জ থানা সহ ও স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ।
এসময় বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ন্যাভাল সিরাজের ছেলেরাও উপস্থিত ছিলেন। তার চার ছেলে ও এক মেয়ে। এরমধ্যে বড় ছেলে মিল্লাত হোসেন মিল্টন মৃত্যুবরণ করেছেন।
তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের নাম চিরতরে মুছে দিতে গণহত্যায় মেতেছিলো বর্বর পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী। ৭১’র মার্চে ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট কোম্পানী হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে নরসিংদীতে মিলিত হয় ইপিআর, আনসার ও পুলিশ বাহিনী। একপর্যায়ে শুরু হয় তীব্র প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও চোরাগুপ্তা হামলা। স্থল পথে মুক্তিবাহিনীর প্রবল প্রতিরোধে টিকতে না পেরে ৪ এপ্রিল পাক বাহিনীর বোমারু বিমান বোমাবর্ষন শুরু করে নরসিংদী শহরে। গোটা শহর পরিনত হয় মৃত্যু পুরিতে। এসময় নরসিংদী শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘাটি স্থাপন করে পাক বাহিনী। দালাল আর রাজাকারদের যোগসাজসে ধর্ষণ, লুটতরাজ সহ গন হত্যা চালায় হানাদার বাহিনী। এদিকে মুক্তি সেনারা তখন ন্যাভাল সিরাজ (বীর প্রতিক) এর নেতৃত্বে আঘাত হানে পাক শত্রু শিবিরে। একের পর এক হামলায় পরাস্ত হয় পাকবাহীনি। এরই মধ্যে দিয়ে ১২ই ডিসেম্বর ন্যাভাল সিরাজের নেতৃত্বে হানাদার মুক্ত হয় নরসিংদী।