ওলরিচ ক্লেপম্যান, ফেডারেল মিনিস্ট্রি অফ ইকোনমিক কো অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র পলিসি অফিসার, বাংলাদেশের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির জন্য ডেস্ক অফিসার। তিনি আমাদের জন্য অত্যন্ত আন্তরিক এবং সহায়ক। ওলরিচ ক্লেপম্যানকে ঢাকায় জার্মানি দূতাবাসের অর্থনৈতিক শাখায় নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি ২০২৪ সালের আগস্টের প্রথম সপ্তাহে যোগ দিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য এটি বাংলাদেশের জন্য একটি অতিরিক্ত সুবিধা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ওলরিচ ক্লেপম্যান, ফেডারেল মিনিস্ট্রি অফ ইকোনমিক কো অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র পলিসি অফিসার। বাংলাদেশের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার দেশ গুলির সাথে কাজ করবেন।
বাংলাদেশ জার্মান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য অতিরিক্ত সুবিধা আদায়ে আলোচনা করতে বার্লিনে রাজ্য সচিব বারবেল কফলারের সাথে সাক্ষাতের সময বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভুইয়া বলেন, ইউরোপের বাজারে আমাদের আরএমজি পণ্যের ন্যায্য ও বেশি দাম পাওয়া নিশ্চিত না হলে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানির পরিমাণ কমে যাবে।
ওলরিচ ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে রাষ্ট্রদূতের সাথে দেখা করতে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা করতে বার্লিনে বাংলাদেশের দূতাবাসে আসেন। সে সময় তিনি উল্লেখ করেন, এপ্রিলে রাজ্য সচিব বারবেল কফলারের সাথে সাক্ষাতের সময় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ ছিল। বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে মোশাররফ হোসেন ভূইয়া উল্লেখ করেন, ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের আরএমজি পণ্যের ন্যায্য ও বেশি দাম পাওয়া উচিত। এটি নিশ্চিত করার জন্য জার্মান ফেডারেল সরকারের কাজ করা দরকার । বাংলাদেশে কাঁচামালের দাম ও শ্রমিকের মজুরি এবং সে সাথে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত না হলে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানির পরিমাণ কমে যাবে। মিঃ ক্লেপম্যান বলেছেন যে তার মন্ত্রণালয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাশাপাশি ইউরোপীয় ক্রেতাদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এছাড়াও বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েরও আমাদের আরএমজি পণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য কাজ করা এবং অন্যায্য মূল্য হ্রাস রোধে সতর্ক হওয়া উচিত বলে রাষ্ট্রদূত মনে করেন।