দেশের বাজারে নিত্যপণ্যের অসহনীয় মূল্যে নাজেহাল অবস্থা সাধারণ ভোক্তাদের। এমনটি হওয়ার অন্যতম কারণ পণ্য মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা। নরসিংদীর মাধবদীতে একটি কোল্ড স্টোরেজেই অবৈধভাবে ১৯ লাখ ডিম মজুত রেখেছেন সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে নরসিংদীর মাধবদী থানার বালুসাইর এলাকার ‘এমএস স্প্যাসিকেল’ নামের একটি কোল্ড স্টোরেজে অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার নরসিংদীর সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান। ঐ কোল্ড স্টোরেজে এক মাসের উপরে মজুত রাখা ডিম পাওয়া যায় বলে জানান এ কর্মকর্তা।
অভিযানে ঐ কোল্ড স্টোরেজে প্রায় ১৯ লাখ ডিম মজুত পাওয়া যায়। এগুলো নামে বেনামি নানাবিধ রশিদে রাখা হয় বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরির উদ্দেশে রাখা হয়েছে বলে জানান সাধারণ ভোক্তারা।
ডিম ব্যবসায়ীরা বলেন, নরসিংদীর মাধবদীসহ বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীরা এমএস স্প্যাসিকেল কোল্ড স্টোরেজে ডিম মজুত রাখেন। একটি ডিম এক মাসের জন্য পঞ্চাশ পয়সা ভাড়া দিতে হয়। প্রায় কয়েক বছর ধরে এমএস স্প্যাসিকেল কোল্ড স্টোরেজে ডিম মজুত করে রাখা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, ঢাকা হেড অফিস থেকে তথ্য দেওয়া হয় নরসিংদীতে ডিম মজুত করে রাখা হচ্ছে। পরে বিভিন্ন খুচরা ও পাইকারি ডিম ব্যবসায়ীদের মাঝে গোয়েন্দা নজর ধারি বাড়ানো হয়। একপর্যায়ে আজ গোপন সংবাদের মাধ্যমে মাধবদী থানার বালুসাইর এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ডিম ক্রয়ের মেমো ও ডিম মজুত দেখে প্রায় ১৯ লাখ ডিম নির্ণয় করা হয়।
কয় মাস কোল্ড স্টোরেজে ডিম মজুত এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, ডিম সাধারণত এক মাসের বেশি সময় মজুত করে রাখা যায় না। এতে ডিমে স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে। অভিযান হওয়া কোল্ড স্টোরেজে এক মাসের উপরে ডিম মজুত রাখা হয়েছে মেমো দেখে এমন তথ্য পাওয়া যায়।