নরসিংদীর পলাশ উপজেলার চর্ণগরদীতে গত ২৬ মার্চ রাতে নিজ ঘরে জবাই করে দেলোয়ারা বেগমকে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। শুধুমাত্র একজোড়া কানের দুল,নাকফুল ও মোবাইলের জন্য বিধবা দেলোয়ারা বেগমকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম। সোমবার দুপুরে (০১ এপ্রিল) নরসিংদীর পুলিশ সুপার সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম।
তিনি জানান, রবিবার (৩১ মার্চ) জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মঞ্জুরুল ইসলাম রিজু (২২) নামে এক যুবকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত মঞ্জুরুল ইসলাম রিজু নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের পিতা-মাইন উদ্দিন মিয়ার ছেলে। হত্যাকারী রিজু নিহতের ছোট ছেলে নাদিমের বন্ধু।
এসময় তার হেফজতে থাকা হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি বটি, লুণ্ঠিত একটি মোবাইল ফোন, লুষ্ঠিত ১ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, একটি নাকফুল এবং হত্যাকাণ্ডের সময় আসামীর পরনে থাকা একটি ট্রাউজার ও একটি শার্ট উদ্ধার উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আরো জানান, (২৬ মার্চ) রাতে পলাশ উপজেলার চরনগরদী গ্রামের দেওয়ানের বিধবা স্ত্রী দেলোয়ারা বেগমকে কে বা কারা বাড়ীতে ঢুকে তার শয়ন কক্ষে হত্যা করে। এ ঘটনায় (৩১ মার্চ) পলাশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা দায়েরের পর পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, পিপিএম এর নির্দেশে তদন্তে নামে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। রবিবার জেলার জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত এক যুবককে গ্রেফতার করে। এসময় তার হেফজতে থাকা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি বটি, লুষ্ঠিত একটি মোবাইল ফোন, লুষ্ঠিত ১ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, একটি নাকফুল এবং হত্যাকাণ্ডের সময় আসামীর পরনে থাকা একটি ট্রাউজার ও একটি শার্ট উদ্ধার করেন ডিবি পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত মঞ্জুরুল ইসলাম রিজু নিহতের কানের দুল ও মোবাইল চুরি করার সময় তাকে চিনে ফেলার কারনে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন বলেও জানান পুলিশ সুপার।
সাংবাদিক সম্মেলনের পর পর গ্রেফতারকৃত হৃদয়কে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।