পুলিশ সপ্তাহ/২০২৪ এ গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্য নিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় ও বীরত্ব¡পূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম-সেবা) পেলেন মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া।
জানাযায়, নরসিংদী মডেল থানায় ওসি হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় তিনি ৭টি পিস্তলসহ ১৮ মামলায় আসামী গ্রেপ্তারসহ মামলার মূল রহস্য উদঘাটন, নির্বাচনকালীন নরসিংদী মডেল থানা ও মনোহরদী থানায় দৃঢ় ও বিতর্কহীন ভূৃমিকার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় তাকে পুলিশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদকে (পিপিএম-সেবায়) ভূষিত করা হয়েছে।
ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া ১৯৭৪ সালে খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি থানার বাটনাতলী গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা সিরাজ ভুঁইয়া ও মাতা হালিমা খাতুন। বাবা পেশায় একজন কৃষক ও সমাজ সেবক। চার ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়।
তিনি খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি হাইস্কুল থেকে এসএসসি, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে এইচএসসি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজী বিভাগে সাফল্যের সাথে অনার্স-মাস্টার্স সম্পূর্ণ করেন।
কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগে ২০০২ সালে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানায় শিক্ষাণবিশ এসআই পদে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় দায়িত্ব পালন করে ২০১১ সালে পুলিশ পরিদর্শক পদে পদোন্নতি পেয়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে যোগদান করেন। এছাড়াও ২০০৯-২০১১ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন (সেট মিশন) পূর্ব তিমুর, সিংগাপুর, ব্যংকক, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ করেন।
পদক প্রাপ্তির পর নিজের প্রতিক্রিয়ায় ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, পুরস্কার পেতে কার না ভাল লাগে। আর সেটা যদি হয় দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে সার্বিক কর্মমূল্যায়নের। পুরস্কার প্রাপ্তি শুধু ভাল লাগার বিষয় নয়। ভবিষ্যতে কতর্ব্য পালনে নিজের দায়িত্বকে আরো বাড়িয়ে দেয়। এই পুরস্কার আমাকে ভালো কাজ করতে আরও উৎসাহী করবে। দেশ ও জণগনের সেবা করার মহান ব্রত নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেছি। সকলের নিকট দোয়া প্রার্থণা করছি আমি যেন শতভাগ সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে পারি। যতদিন পুলিশ বিভাগে থাকবেন এভাবেই মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চান বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।